যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ইয়েমেনে সৃষ্ট মানবিক দুর্দশার জন্য সৌদি আরবকে দায়ী করে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপে একটি উত্থাপিত হয়েছে।
দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও হয়েছে এই বিলে।
সিনেটর রবার্ট মেনেন্ডেজ, টড ইয়াং এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু লিন্ডসে গ্রাহামের পক্ষ থেকে বিলটি উত্থাপিত হয়।
বিলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, সৌদি আরবের কাছে যুদ্ধোপকরণ, বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান, ট্যাংক বা সাঁজোয়াযান বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণের মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির করা বলা হয়নি।
মেনেন্ডেজ এক বিবৃতিতে বলেন, এই বিল এটাই স্পষ্ট করেছে যে কংগ্রেস শত্রুতার তাৎক্ষণিক অবসান চায়। ইয়েমেনি নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টিতে সব দলকে প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এতে। একমাত্র রাজনৈতিকভাবে এই যুদ্ধের অবসান ঘটনা সম্ভব।
ইয়াং এক বিবৃতিতে বলেন, বিলটি আইনে পরিণত হলে ইয়েমেনে যুদ্ধরত সব দলকে সমঝোতায় এনে চলমান যুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় হাতিয়ার হবে ট্রাম্প প্রশাসনের। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ এবং মানবিক নীতি এটাই দাবি করে।
গ্রাহাম বলেন, আমাদের এই বিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। এর সঙ্গে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ঘোষণারও মিল আছে। এছাড়া ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ফ্রন্টের জন্য এটি একটি বড় ধরনের সংকেত।
সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য ও সিনেটর জ্যাক রিড এবং সিনেটর জিন শাহীনও এই বিলের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার পর দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস থেকে এই শাস্তিমূলক বিল উত্থাপিত হলো।