সম্ভাবনাময় তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নিয়ে ফোর্বসের করা ২০১৯ সালের তালিকায় সেরা ৩০ জনের মধ্যে স্থান পেয়েছেন জি এম মাহমুদ আরিফ পাভেল।
শুক্রবার মার্কিন সাময়িকীটির প্রকাশিত ওই তালিকার প্রথমেই রয়েছে ২৯ বছর বয়সী এই বায়োলজিস্টের নাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব সায়েন্স (বিএসসি) করার পর নিউইয়র্কের সেন্ট জন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং মাস্টার্স করেছেন পাভেল।
মানব শরীরের ‘আয়ন চ্যানেল’ নিয়ে গবেষণা করছেন পাভেল। এই চ্যানেলকে ‘ফান্ডামেন্টাল সেন্সর্স অব লাইফ’ হিসেবে অভিহিত করে তা অ্যানেসথেসিয়াসহ অটোসমাল পলিসিসটিক কিডনি রোগের চিকিৎসায় নবদিগন্তের সূচনা ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
তরুণ এই বিজ্ঞানী বর্তমানে পোস্ট ডক্টরাল অ্যাসোসিয়েট হিসেবে ‘স্ক্রিপস রিসার্চ’ এ কাজ করছেন। বসবাস করছেন ন ফ্লোরিডার জুপিটারে। তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন শেখ হাসিনা এবং সামিট গ্রুপের মো. আজিজ খান।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ৩০ বছরের নিচে যেসব তরুণ মানবকল্যাণে গবেষণা-উদ্ভাবনে অবদান রাখছেন তাদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে সম্মানীত করার উদ্দেশ্যে গত ৮ বছর যাবত এই তালিকা করে আসছে ফোর্বস ম্যাগাজিন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে জি এম মাহমুদ আরিফ পাভেলের নাম।
কয়েক হাজার মেধাবীর তালিকা পায় তারা। এরপর ৪ বিচারকের মাধ্যমে সবকিছু পর্যবেক্ষণ, যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে সেই সেরা মেধাবী বিজ্ঞানীদের তালিকা।
ফোর্বস ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ইউরোপ, এশিয়া মহাদেশের সেরা ৩০ জনের তালিকাও করা হয় একইভাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা অঞ্চলের সেরা তরুণ ৩০ বিজ্ঞানীর তালিকা দক্ষিণ এশিয়ান বংশোদ্ভূতদের মধ্যে আরও রয়েছেন মেঘালি চুপরা (২৯), হাসিনী জয়তিলকা (২৯), নাসরিন মোস্তফা (২৮), মৈত্র রাঘু (২৭), দেবাকি রাজ (২৮) এবং গীতাঞ্জলি রাও (১২)।
একইভাবে গণমাধ্যম, সঙ্গীত, ব্যবসা, আর্ট, শিক্ষা, জ্বালানীসহ ২০ ক্যাটাগরির তালিকাও প্রকাশ করেছে ম্যাগাজিনটি।