যুদ্ধাপরাধের মামলার মুখে পড়তে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ইয়েমেনে আগ্রাসন চালিয়ে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যা, সৌদি নাগরিকদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন এবং সর্বশেষ সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার নির্দেশ দেয়ায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চিন্তা করছে আর্জেন্টিনা কর্তৃপক্ষ।
মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশটির আইনজীবীরা।
খাসোগি হত্যার পর প্রথম বিদেশ সফরের অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে আর্জেন্টিনায় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে যুবরাজ মোহাম্মদের। সম্মেলনে যোগ দিতে বুয়েন্স আয়ার্সে পৌঁছালেই গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন।
সফর ঠেকাতে তিউনিশিয়ায় বিক্ষোভ
আর্জেন্টিনায় যুদ্ধাপরাধের মামলা প্রস্তুতির মধ্যে যুবরাজের সফর ঠেকাতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে তিউনিশিয়াবাসী। খাসোগি হত্যাকে কেন্দ্র করে যুবরাজের সফরে ফুঁসে উঠেছে দেশটির সাংবাদিক, ব্লগার ও অধিকারকর্মীসহ সচেতনমহল। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল রাজধানী তিউনিশ। বিক্ষোভকালে স্লোগান লেখা ব্যানার-ফেস্টুন বহন করতে দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ‘যুবরাজকে গণতান্ত্রিক দেশ তিউনিশিয়ায় স্বাগত জানানো হবে না।’ তিউনিশিয়ায় যুবরাজের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভের মধ্যেই তাকে স্বাগত জানালেন মিসরের স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। মিসর সফর শেষেই তার তিউনিশিয়া সফরের কথা রয়েছে।
সাক্ষাতের জন্য এরদোগানকে অনুরোধ
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের সাক্ষাৎ পেতে তাকে ফোন করে অনুরোধ করেছেন কোণঠাসা হয়ে পড়া যুবরাজ। বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে এ সাক্ষাৎ চাচ্ছেন তিনি। যুবরাজের ফোনের খবর নিশ্চিত করেছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেদলুভ কাভুসোগলু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সৌদি যুবরাজ এরদোগানকে ফোনে অনুরোধ করে বলেছেন বুয়েন্স আয়ার্সে তাদের সাক্ষাৎ সম্ভব কিনা।’
জবাবে এরদোগান বলেছেন, ‘দেখা যাক কি হয়।’ মঙ্গলবার জার্মানির একটি দৈনিকের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এ খবর জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক মনে করছে, এ মুহূর্তে যুবরাজের সঙ্গে এরদোয়গান নাও দেখা করতে পারেন।