অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০১৯ সালের বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে ৬ এপ্রিল শনিবার। ১৯৯৩ সালে বারউড স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী এখন প্রশান্ত সাগরের পাড়ে সবচেয়ে বড় নববর্ষ উদযাপনে পরিণত হয়েছে।
গত বছর থেকে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে। দীর্ঘদিন থেকে এই মেলা টেম্পি পার্কে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে অনেকের কাছে এই প্রাণের উৎসব টেম্পি মেলা নামে পরিচিত।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনি অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে, ২০১৯ সালের বৈশাখী মেলা নিয়ে রোববার সিডনির স্থানীয় রেস্টুরেন্টে আয়োজন করে মতবিনিময় সভা।
সভাপতি মাসুদ পারভেজ এবং আহ্বায়ক গাউসুল আজম শাহাজাদার আমন্ত্রণে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি ও ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক কাইউম পারভেজ, সংগঠনের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি, আইনজীবী ও গবেষক সিরাজুল হক, কাউন্সিলর মোহাম্মদ জামান এবং কাউন্সিলর মোহাম্মদ হুদা প্রমুখ।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি, আইনজীবী ও গবেষক সিরাজুল হকের সঞ্চালনায় শুরুতে তিনি সংগঠনের ইতিহাস এবং বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের বর্ণনা করেন। এরপর আহ্বায়ক গাউসুল আজম সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
সংগঠনের সভাপতি মাসুদ পারভেজ সিডনির সবাইকে এই মেলাকে সফল করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন এটা ছিল একমাত্র সর্বজনীন বৈশাখী মেলা। প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে একমাত্র নববর্ষ উদযাপন করা এই সংগঠনের বর্তমান আহ্বায়ক জনাব আজম শাহজাদার প্রশংসা করেন।
নাগরিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মতামত অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি ও সংস্কৃতি শিক্ষানুরাগী ডক্টর কাইয়ুম পারভেজ প্রথম বৈশাখী মেলার বর্ণনা ও স্মৃতিচারণ করে বলেন, যখন আমরা এই মেলা শুরু করি তখন আমরা দর্শকদের জন্য ইলিশ মাছের ব্যবস্থা করি। মেলা প্রাঙ্গণে বসে থাকতাম কখন একজন প্রবাসী বাংলাদেশি আসবে আর আমরা পাঁচজন দৌড় দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করতাম। আজকে সেই বৈশাখী মেলা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেক বড় মিলনমেলা। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠক ছাড়াও বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।