সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুই সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন ইস্তাম্বুলের চিফ প্রসিকিউটর।
তারা দুজনই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।
বুধবার ইস্তাম্বুলের চিফ প্রসিকিউটরের দফতর জানিয়েছে, আল আসিরি এবং সৌদ আল কাহাতানি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে জামাল খাসোগিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন।
তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চিফ প্রসিকিউটরের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে আঙ্কারারা এই মনোভাব ফুটে উঠেছে যে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না।
এছাড়া, আরও বহু ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে বলেও তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।
জামাল খাসোগিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সৌদি আরব যে পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে আটক করেছে তাদের মধ্যে দেশটির গোয়েন্দা শাখার উপপ্রধান আহমেদ আল আসিরি এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মিডিয়া উপদেষ্টা কাহাতানি রয়েছেন।
কাহাতানি এর আগে খাসোগিকে স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে নানাভাবে প্রলোভিত করার চেষ্টা করেছিল এবং এমনকি তাকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে সৌদি আরবে ফেরত নিতে চেয়েছিল। তবে আমেরিকার ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাসোগি কাহাতানির এসব প্রস্তাবকে নিজের জন্য ফাঁদ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে খুন হন খাসোগি। সৌদি আরব এ হত্যার কথা স্বীকার করেছে। যদিও খাসোগির মৃতদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সৌদি আরবও কিছু বলছে না। খাসোগি হত্যায় জড়িত সন্দেহে ১৮ সৌদি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ এনে মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন সৌদি প্রসিকিউটর।