logo
আপডেট : 6 December, 2018 01:35
যুবরাজকেই খাশোগির খুনি মনে করেন মার্কিন সিনেটররা
মেইল রিপোর্ট

যুবরাজকেই খাশোগির খুনি মনে করেন মার্কিন সিনেটররা

সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।

সৌদি আরবের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত না থাকার সম্ভাবনা ‘শূন্য’ বলে মন্তব্য করেছেন কয়েক জন মার্কিন সিনেটর। 

মার্কিন সিনেটে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিআইএ) প্রধান গিনা হাসপেলের এ সংক্রান্ত ব্রিফিং শেষে তারা এ ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেন।

সিনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর বব করকার বলেছেন, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, ‘সৌদি যুবরাজ সালমান খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এ হত্যাকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেছেন সে ব্যাপারে আমাদের আর কোনো সংশয় নেই।’

তিনি আরো বলেন, বিন সালমানকে বিচারের মুখোমুখি করা হলে ৩০ মিনিটের মধ্যেই তাকে দোষী প্রমাণ করা সম্ভব। গতকাল সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ জড়িত আছে কি-না সে ব্যাপারে মার্কিন সিনেটকে ব্রিফ করেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রধান।

ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৌদি যুবরাজের লোকেরাই যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এমন উপসংহারে পৌঁছাতে না চাইলে মনে করতে হবে আপনি সব জেনেশুনেও অন্ধ।’

তিনি আরো বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করতে চায় না। খাশোগি হত্যার পর গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে পুরো সিনেটকে ব্রিফ করেন। তবে বেশিরভাগ সিনেটর তাদের কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই তারা সিআইএ প্রধানকে ডেকে পাঠান।

গ্রাহাম বলেন, মোহাম্মদ বিন সালমান ও সৌদি আরব-আলাদা দুটি অস্তিত্ব। যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে যুবরাজ কাজ করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, আমি মনে করি তার সঙ্গে কাজ করা খুবই কঠিন। কারণ তিনি একজন খেপাটে লোক। সম্পর্ককে তিনি ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছেন।

গ্রাহাম বলেন, যুবরাজ যতদিন পর্যন্ত সৌদি আরবের শাসন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন পর্যন্ত দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি আমি সমর্থন করছি না। ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

গিনা হ্যাসপেলের ব্রিফে সব মিলিয়ে আটজন সিনেটর কথা বলেন।