logo
আপডেট : 6 December, 2018 01:45
রাজনীতিক, পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনী ভাবনা শুনলেন কূটনীতিকরা
ঢাকা অফিস

রাজনীতিক, পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনী ভাবনা শুনলেন কূটনীতিকরা

গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে রাজনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কথা শুনেছেন কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা।

বুধবার কানাডা, আইআইডি ও এনডিআইর উদ্যোগে গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে, জাপানের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা এই মতবিনিময় হয়।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এখনো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। জবাবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কিছুটা সমস্যা আছে। আমরা তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

বৈঠকে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা জানান, বিগত সিটি নির্বাচনের মতো সংসদ নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সব দলকে সহযোগিতা করতে হবে। বৈঠকের বিষয় নিয়ে কূটনীতিকরা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের কিছু জানায়নি।

কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, গওহর রিজভী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন।

এছাড়া সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর শারমিন মুরশিদ, সুজনের ড. বদিউল আলম মজমুদারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে এইচটি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব কিছু করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কিছু বিষয়ে সমস্যা আছে। তা সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। শুধু নির্বাচন কমিশনকে গালিগালাজ না করে সব রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম ইসিকে সহযোগিতা করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখানে মূলত নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য যে প্রয়োজনীয়তা সেটা আমরা বলেছি। বর্তমান যে প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের, এই বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হওয়া সত্ত্বেও আমরা নির্বাচনে এসেছি। এখন আমরা নির্বাচনে আসার পর দেখছি আমাদের জার্নি হচ্ছে লং হিল জার্নি, আমরা আরও নিচের দিকে যাচ্ছি।

খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করি, বাকি দিনগুলোতে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই পর্যন্ত জনগণের কোনো আস্থা সৃষ্টি হয়নি। বস্তুতপক্ষে নির্বাচনটি নির্বাচনের আগে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন কারণে এবং এই প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া থেকে যদি বেরিয়ে আসতে চান তাহলে তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। না হলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আরও ‘খারাপের’ দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি বলেন, নির্বাচনটা কীভাবে আরও ভালো করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে বক্তব্য সেটা হলো গত ১০ বছরে ও তার আগে ২০০৭-০৮ সালেও নির্বাচনী পুরো প্রক্রিয়ায় যে ধরনের সংস্কার করা হয়েছে, যার প্রত্যেকটি ছিল আওয়ামী লীগের উদ্যোগ। ওইসব সংস্কারের মাধ্যমে আজকে একটা সিস্টেম দাঁড়িয়েছে, যার মাধ্যমে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। শুধু অভিযোগের জন্য অভিযোগ না করে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যেন তা করা হয়।

কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, ভেতরে আলোচনার কথা এখানে বলার কথা না। তবে আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সবাই সেটি আশা করেন এবং অতীতের চেয়ে আমরা এখন যে পদ্ধতিগুলো আছে চতুর্দিকে যেভাবে ডিজিটাইলেজেশন বলেন, মিডিয়ার ব্যাপকতা বলেন, তাতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভালো পরিবেশ তৈরি হচ্ছে সেটিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানে যে জিনিসটা উঠে এসেছে, আগামী নির্বাচন যদি গ্রহণযোগ্য না হয় দেশে-বিদেশে যদি দৃশ্যমান ফ্রি-ফেয়ার ইলেকশন না দেখা যায়, যেটার এখন কিছু আলামত দেখা যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায়। এগুলো দে আর অবজারভিং। এটা হয়তো বাংলাদেশে এই পর্যন্ত যেসব অর্জন আছে, খুব ভালো ভালো অর্জন আছে সেই অর্জনগুলোকে ম্লান করতে পারে। সেটাই হলো তাদের ধারণা। যেটা আলোচনায় উঠে এসেছে। এটুকুই আমি বুঝতে পেরেছি।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সে রকম না হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ বলেন, আমরা আগামী দিনের দিকে তাকাতে চাই। আমরা মনে করি যে, রাজনৈতিক দলগুলো যেন একটু সহনশীল হয়। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। সেই ভূমিকাটা শক্ত করার জন্য সরকারি দল কমিশন থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে। আমাদের বক্তব্য ছিল নির্বাচন কমিশনের ইন্ডিপেনডেন্স প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো তার থেকে দূরত্ব রক্ষা করবে।আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে রাজনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কথা শুনেছেন কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা।

বুধবার কানাডা, আইআইডি ও এনডিআইর উদ্যোগে গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে, জাপানের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা এই মতবিনিময় হয়।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এখনো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। জবাবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কিছুটা সমস্যা আছে। আমরা তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

বৈঠকে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা জানান, বিগত সিটি নির্বাচনের মতো সংসদ নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সব দলকে সহযোগিতা করতে হবে। বৈঠকের বিষয় নিয়ে কূটনীতিকরা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের কিছু জানায়নি।

কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, গওহর রিজভী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন।

এছাড়া সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর শারমিন মুরশিদ, সুজনের ড. বদিউল আলম মজমুদারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে এইচটি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব কিছু করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কিছু বিষয়ে সমস্যা আছে। তা সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। শুধু নির্বাচন কমিশনকে গালিগালাজ না করে সব রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম ইসিকে সহযোগিতা করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখানে মূলত নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য যে প্রয়োজনীয়তা সেটা আমরা বলেছি। বর্তমান যে প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের, এই বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হওয়া সত্ত্বেও আমরা নির্বাচনে এসেছি। এখন আমরা নির্বাচনে আসার পর দেখছি আমাদের জার্নি হচ্ছে লং হিল জার্নি, আমরা আরও নিচের দিকে যাচ্ছি।

খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করি, বাকি দিনগুলোতে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই পর্যন্ত জনগণের কোনো আস্থা সৃষ্টি হয়নি। বস্তুতপক্ষে নির্বাচনটি নির্বাচনের আগে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন কারণে এবং এই প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া থেকে যদি বেরিয়ে আসতে চান তাহলে তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। না হলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আরও ‘খারাপের’ দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি বলেন, নির্বাচনটা কীভাবে আরও ভালো করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে বক্তব্য সেটা হলো গত ১০ বছরে ও তার আগে ২০০৭-০৮ সালেও নির্বাচনী পুরো প্রক্রিয়ায় যে ধরনের সংস্কার করা হয়েছে, যার প্রত্যেকটি ছিল আওয়ামী লীগের উদ্যোগ। ওইসব সংস্কারের মাধ্যমে আজকে একটা সিস্টেম দাঁড়িয়েছে, যার মাধ্যমে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। শুধু অভিযোগের জন্য অভিযোগ না করে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যেন তা করা হয়।

কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, ভেতরে আলোচনার কথা এখানে বলার কথা না। তবে আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সবাই সেটি আশা করেন এবং অতীতের চেয়ে আমরা এখন যে পদ্ধতিগুলো আছে চতুর্দিকে যেভাবে ডিজিটাইলেজেশন বলেন, মিডিয়ার ব্যাপকতা বলেন, তাতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভালো পরিবেশ তৈরি হচ্ছে সেটিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানে যে জিনিসটা উঠে এসেছে, আগামী নির্বাচন যদি গ্রহণযোগ্য না হয় দেশে-বিদেশে যদি দৃশ্যমান ফ্রি-ফেয়ার ইলেকশন না দেখা যায়, যেটার এখন কিছু আলামত দেখা যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায়। এগুলো দে আর অবজারভিং। এটা হয়তো বাংলাদেশে এই পর্যন্ত যেসব অর্জন আছে, খুব ভালো ভালো অর্জন আছে সেই অর্জনগুলোকে ম্লান করতে পারে। সেটাই হলো তাদের ধারণা। যেটা আলোচনায় উঠে এসেছে। এটুকুই আমি বুঝতে পেরেছি।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সে রকম না হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ বলেন, আমরা আগামী দিনের দিকে তাকাতে চাই। আমরা মনে করি যে, রাজনৈতিক দলগুলো যেন একটু সহনশীল হয়। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। সেই ভূমিকাটা শক্ত করার জন্য সরকারি দল কমিশন থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে। আমাদের বক্তব্য ছিল নির্বাচন কমিশনের ইন্ডিপেনডেন্স প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো তার থেকে দূরত্ব রক্ষা করবে।