বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচার উপায় শেখাবে বলে জানালেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।
শনিবার কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি একথা জানান।
জাভেদ জারিফ বলেন, এটা স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা চাপের মুখে আছি। কিন্তু এই চাপের কারণে আমরা কী আমাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবো? আমি এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে সেদিন কখনোই আসবে না।
তিনি বলেন, এমন কোনও শিল্প যদি থেকে থাকে, যার ওপর ইরান পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তা অন্যকে শেখাতে পারে, তবে তা হলো নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন অব্যাহত রাখা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ ও তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
যারা ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তারা পরাজিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার মুখে আছে ইরান। অন্যদিকে ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর।
পরমাণু সমঝোতা প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানের স্বার্থ রক্ষিত হলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে তার দেশ এই সমঝোতায় অটল থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করে তিনি জানান, যে দেশ ইরানের জন্য ১২টি পূর্বশর্ত আরোপ করে, তার সঙ্গে আলোচনায় বসবে না ইরান।
ইরান মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক হস্তক্ষেপ করছে- যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে জাভেদ জারিফ বলেন, তারাই সাত সমুদ্রের ওপার থেকে এসে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক হস্তক্ষেপ করছে। অন্যদিকে ইরান সিরিয়ার সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছে। তারা যেদিন অনুরোধ জানাবে, সেদিন সামরিক উপদেষ্টা প্রত্যাহার করবে ইরান।