একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে রিট শুনানির জন্য গঠিত হাইকোর্টে তৃতীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চ খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ফিরে করা রিট খারিজ করে দেন।
এর আগে একটি বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে আদেশ দেন, অপর বিচারপতি অবৈধ বলে রায় দেন। পরে এ রিট শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি।
আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তবে এ মামলায় আদালত বর্জন করায় খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে এদিন সকালে, খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে দায়ের করা রিট শুনানিতে তৃতীয় বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে খালেদার আইনজীবীদের করা আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। পরে রিট শুনানি শুরু করেন আদালত। তবে শুনানি শুরুর সাথে সাথেই আদালত থেকে একসাথে বেরিয়ে যান খালেদার আইনজীবীরা।
এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার করা রিটের বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
এর মধ্যে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন যে রায় দিয়েছিল, তা স্থগিত ঘোষণা করেন এবং কেন এই আদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রুল জারি করেন। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার আদেশ আসে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির কাছে থেকে।
জ্যেষ্ঠ বিচারপতির আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির। তিনি খালেদা জিয়ার আদেশ খারিজ করে দেয়ার মত দেন।
এর ফলে খালেদা জিয়া ভোটে ফিরতে পারবেন কি না, তা অমীমাংসিতই রয়ে যায়। নিয়ম অনুসারে, বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে শুনানির জন্য তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেন। সেই বেঞ্চই এ ব্যাপারে শুনানি হয়।