যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ সংযোগের অভিযোগ এনে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় দেশটির সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্যকে টার্গেট করা হয়েছে।
চলতি বছর আগস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করেন। ফলে বিলটি এখন আইনে পরিণত হয়ে। কংগ্রেস সদস্যরা প্রায় সর্বসম্মতভাবে বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ায় ট্রাম্পের অবশ্য এক্ষেত্রে অন্য কোনও ভালো বিকল্প ছিল না। কারণ বিলটি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের ভেটো আটকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সংখ্যক কংগ্রেসম্যানের সমর্থন পায়।
তবে নতুন নির্দেশনায় রাশিয়ার বড় অ্যালুমিনিয়াম প্রতিষ্ঠান রুসালসহ আরও দুইটি ফার্মের ওপর থেকে নিষেধজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তবে ওলেগ দেরিপাস্কার ওপর নিষেধজ্ঞা অব্যহত রয়েছে। গত এপ্রিলে তার ও তিনি সংশ্লিষ্ট ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প এক নির্বাহী নির্দেশে স্বাক্ষর করেছিলেন যার মাধ্যমে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা যে কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার এখতিয়ার থাকবে।
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করা মাইকেল ডবসন বলেন, ‘রুশ গোয়েন্দাদের ওপর থেকে এখনও নজর সরায়নি প্রশাসন। আমার মনে হয় এটা অনেক শক্ত পদক্ষেপ।’
এই নিষেধাজ্ঞায় বেশ কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছেন এলিনা আলিকসিভনা খুশায়নোভা। চলতি বছর অক্টোবরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে তার ওপর। মার্কিন অর্থ বিভাগ দেরিপাস্কার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে আরেক সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ভিক্টোর বোয়াকারিনের নামও প্রকাশ করেছে। আরও দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আলেক্সান্দার পেত্রোভ ও রুসলাম বোশিরভোরে ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিশ্ব মাদক বিরোধী সংস্থা ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বিরোধী সংস্থায় হ্যাকিংয়ের কারণেও কয়েকজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে অর্থবিভাগ।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা আনা হয় পুতিন ঘনিষ্ঠ ৭ ব্যক্তি ১২ প্রতিষ্ঠান ও ১৭ কর্মকর্তার ওপর।
নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও একটি ব্যাংক রয়েছে। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির মালিক সুলেইমান কারিমভ ও দেরি পাসকারসহ বেশ কজন রুশ ধনকুবের এর আওতায় রয়েছেন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, ইউক্রেন, ক্রিমিয়া ও সিরিয়া আগ্রাসী আচরণে জবাবে এ নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন।
এর আগে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ঘটনায় মার্চে ১৯ রুশ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সেই নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও একটি ব্যাংক ছিল। এর আওতায় ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির মালিক সুলেইমান কারিমভ ও দেরি পাসকারসহ বেশ কজন রুশ ধনকুবের। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, ইউক্রেন, ক্রিমিয়া ও সিরিয়া আগ্রাসী আচরণে জবাবে এ নিষেধাজ্ঞা বলে জানায় মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন।
তারও আগে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ঘটনায় মার্চে ১৯ রুশ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।