মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অর্থায়ন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে সরকার আংশিক অচল করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এই অচলাবস্থা বা শাটডাউন কার্যকর হয়েছে।
মেক্সিকো সীমান্তে ওই দেয়াল নির্মাণের জন্য ৫৭০ কোটি ডলার চাইছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু কংগ্রেস বিশেষ করে ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতাররা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পে দাবির কাছে নতি স্বীকার করতে রাজি নয়। তারা বলছেন, মার্কিন জনগণের করের টাকায় ট্রাম্পকে দেয়াল নির্মাণ করতে দেয়া হবে না।
গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ব্যয় বাজেটের একটি বিল অনুমোদন করেছিল। কিন্তু ওই বিলে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তাতে সই করতে অস্বীকৃতি জানান ট্রাম্প।
ওই বাজেট বিলে দেয়াল নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত ৫৭০ কোটি ডলারের দাবি করেছিলেন ট্রাম্প।
চলতি দফার অচলাবস্থার কারণে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল পার্ক অ্যান্ড ফরেস্ট বিভাগের কয়েক লাখ কর্মী বেকার হয়ে পড়বে। গত ৪০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম এক বছরে তিনবার সরকারের অচলের ঘটনা ঘটলো।
নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ রিপাবলিকানদের হাতছাড়া হয়। সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও খুব একটা স্বস্তিতে নেই তারা।
আর এই শাটডাউনের দায় ডেমোক্রেটদের ওপরেই চাপালেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শুক্রবার শাটডাউনের আগে তিনি বলেন, এই অচলাবস্থা কার্যকর হবে কিনা তা পুরোপুরি ডেমোক্রেটদের ওপর নির্ভর করছে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য সরকার অচল করে দিতে পারলে গর্ববোধ করবেন। কারণ এই দেশের মানুষজন অপরাধী এবং সমস্যাগ্রস্ত মানুষ এবং মাদকের প্রবেশ চায় না। তাই আমি এর দায়িত্ব (দেয়াল নির্মাণের) নেবো। আমি সরকার অচল করে দেবো।
এদিকে ডেমোক্রেটরা অসহযোগিতা করলে কেন্দ্রীয় সরকারের অচলাবস্থা ‘দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে’ বলেও সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে অনুমোদন পাওয়ার পর প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য বাজেট বিলটিকে সিনেটে পাঠানো হবে। সেখানে ওই বিল পাসের জন্য ন্যুনতম ৬০ ভোট পেতে হবে। কিন্তু সিনেটে রিপাবলিকানদের আসন সংখ্যা ৫১। তাই বাজেট অনুমোদনে ডেমোক্রেট সিনেটরদেরও সায় লাগবে।