জাতিসংঘের শীর্ষ দূত নিকোলাস হেসোমকে বহিষ্কার করেছে সোমালিয়া। তিনি দেশটির সরকার প্রধানের মতো আচরণ করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসলামপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাবের সাবেক উপনেতা মুখতার রোবৌ’র সমর্থকদেরকে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন হেসোম। জাতিসংঘের মতে, প্রায় ১৫ জন বিক্ষোভকারী এবং ৩০০ বন্দিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
সোমালিয়ার সরকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। আল-শাবাবের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের করতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, ইউনিফর্ম ও বেতন সরবরাহ করে থাকে জাতিসংঘ।
২০১৭ সালে আল-শাবাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা রোবৌ গত অক্টোবরে ঘোষণা দেন, তিনি সাউথ ওয়েস্ট রাজ্য থেকে নির্বাচন করতে চান। কিন্তু দেশটির সরকার এতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ডিসেম্বরের শুরুতে রোবৌকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা বাহিনী।
দেশটির সরকার বলছে, তিনি এখনো উগ্রপন্থি আদর্শ ত্যাগ করতে পারেননি। গত ৩০ ডিসেম্বর হেসোম সোমালিয়ার সরকারের কাছে লিখিতভাবে তাকে গ্রেপ্তার এবং সাউথ ওয়েস্টের রাজধানী বাইদোয়ায় তার সমর্থকদের বিক্ষোভে দমন-পীড়ন চালানোর কারণ জানতে চান।
সোমালি সরকার হেসোমের প্রশ্নের জবাব দিয়েছে কিনা স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আইসে আওয়াদ জানিয়েছেন, জাতিসংঘের দূতকে আর এই দেশে স্বাগত জানানো হবে না।
তিনি বিবিসি’কে বলেন, হেসোম কূটনৈতিক নিয়ম ভঙ্গ করে সোমালিয়ার সরকার প্রধান বা শাসকের মতো আচরণ করেছেন। তিনি এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন, যা জাতিসংঘের জন্য অপমানজনক।
প্রসঙ্গত, হেসোম দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক এবং তিনি দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার আইন উপদেষ্টা ছিলেন। পরে তিনি জাতিসংঘের দূত হিসেবে আফগানিস্তান, সুদান ও দক্ষিণ সুদানে দায়িত্ব পালন করেছেন।