সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি আদালতে দেশটির রাজতন্ত্রবিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা মামলায় ১১ জনের বিচার শুরু হয়েছে।
দেশটির সরকারি আইনজীবীরা এ মামলায় বিবাদীদের পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।
সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক জামাল খাশোগিকে গত বছরের ২০ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর হত্যা করা হয়।
সরকারি আইনজীবীদের দাবি, জামাল খাশোগিকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েকজন সৌদি এজেন্টকে ইস্তাম্বুল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শৃঙ্খলাভঙ্গকারী ওই সৌদি এজেন্টরা তাকে হত্যা করেছে।
তুরস্ক ওই হত্যাকান্ডের জন্য মোট ১৮ জনকে দায়ী করে বিচারের মুখোমুখি করতে তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিল সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে।
খাসোগি হত্যার বিচার সম্পর্কে সৌদি সরকারি গণমাধ্যমেও খুব কমই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যে ফৌজদারি আদালতে বিচার চলছে তার প্রথম অধিবেশনে মামলার শুনানি হয়েছে। সেখানে ১১ জন আসামি এবং তাদের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগপত্রের একটা কপি চেয়েছেন। এটি পর্যালোচনা করার সময়ও চেয়েছেন। পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
গত নভেম্বরে সৌদি ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর শালান বিন রাজিহ শালান বলেছিলেন, একজন ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তা এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে হত্যা কার্যকর করতে বলা হয়।
ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে এই হত্যাকান্ডের সময় যে ১৫ জন সৌদি এজেন্ট সেখানে এসেছিল এবং পরে ইস্তাম্বুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ফিরে গেছে, তাদের চিহ্ণিত করেছে তুরস্ক।
কিন্তু এদের কেউ এখন এই মামলার আসামিদের মধ্যে আছে কীনা তা স্পষ্ট নয়। পশ্চিমা দেশগুলোর অনেকরই ধারণা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই এই হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছেন। কিন্তু তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না। তবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই ঘটনায় তার কোন ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছেন।