যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীন গমনেচ্ছুদেরকে সতর্ক করে জানিয়েছে, আমেরিকান নাগরিকরা দেশটিতে যাওয়ার পর চীনা কর্তৃপক্ষ ‘প্রস্থান নিষেধাজ্ঞা’ ব্যবহার করে তাদেরকে আটকে দিতে পারে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি আপডেটেড নির্দেশনায় মন্ত্রণালয়টি স্থানীয় আইনের ইচ্ছামতো প্রয়োগের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-চীন উভয় দেশের নাগরিকদের ওপর বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপের জন্য ২০১৮ সালের মতো এবছরও চীনকে লেভেল টু’তে রেখেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
এতে বলা হয়, চীনা কর্তৃপক্ষ কখনও ‘প্রস্থান নিষেধাজ্ঞা’ ব্যবহার করে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চীন ত্যাগে বাধা দিয়েছে, কখনও কয়েক বছর ধরে তাদেরকে দেশটিতে আটকে রেখেছে। এভাবে চীনা সরকারের তদন্তে তাদেরকে জোর করে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে।
আরও বলা হয়, বিদেশ থেকে চীনকে সমর্থন এবং চীনা দলগুলোর পক্ষে দেশটির নাগরিকদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসনে কর্তৃপক্ষকে সহায়তায় প্রলুব্ধ করতেই তদন্তের নামে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে আটকে রাখা হচ্ছে। তবে চীন ত্যাগের চেষ্টা না করা পর্যন্ত তাদেরকে ‘হয়রানি ও হুমকি’র মুখোমুখি হতে হয় না।
নির্দেশনাটিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা কতদিন অব্যাহত থাকবে তা জানার কোনও উপায় নেই। হয়ত যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার আমেরিকান নাগরিকদের অপরাধ সম্পর্কে জানার আগেই তাদেরকে আটক করা হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অজুহাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আটকের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
চীনে অবস্থানরত আমেরিকানদেরকে সতর্ক করে এতে বলা হয়, কাউকে চীনা সরকারের সমালোচনা করে কোনও বার্তা পাঠানোর জন্যও আটক বা বিতাড়িত করতে পারে দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। দেশটিতে দ্বৈত নাগরিকতা স্বীকৃত নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র-চীনা এবং চীনা বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা অতিরিক্ত হয়রানির স্বীকার হতে পারে।