আটলান্টিক মহাসাগরে মার্চ থেকে যুদ্ধজাহাজ পাঠাবে ইরানি নৌবাহিনী। শুক্রবার ইরানের এক শীর্ষ কমান্ডার এ কথা জানান।
পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীকে ইরান তাদের নিরাপত্তায় হুমকি মনে করে। এ কারণে এর পাল্টা ব্যবস্থায় ইরানের নৌবাহিনী এখন তাদের পতাকাবাহী যুদ্ধজাহাজ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমার কাছে যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে।
ইরানের উপকমান্ডার বলেন, মার্চ মাসে ইরানি নববর্ষের শুরুতেই নৌবহর আটলান্টিকে যাত্রা শুরু করবে।
রিয়াল অ্যাডমিরাল তৌরাজ হাসানি বলেন, আটলান্টিক মহাসাগর অনেক দূর। তাই ইরানি নৌবহরের এ অভিযানে পাঁচ মাস সময় লেগে যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে এসব জানায় নিউইয়র্ক পোস্ট।
তিনি জানান, নৌবহরের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে আছে নতুন তৈরি ডেস্ট্রয়ার শাহান্দ। এ রণতরীতে হেলিকপ্টার ওড়ার ডেক আছে। বিমান বিধ্বংসী এবং জাহাজ বিধ্বংসী অস্ত্রসহ ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও আছে এতে। তাছাড়া এতে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারেরও ব্যবস্থা আছে।
হাসানি বলেন, ডিসেম্বরে দুই থেকে তিনটি ভেনিজুয়েলার উদ্দেশে যেতে পারে।
গত মাসে ইরানের এক সামরিক কর্মকর্তা আটলান্টিকে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমার কাছে যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন।
সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে ইরানের জাহাজগুলোর সুরক্ষায় ইরান সম্প্রতি কয়েক মাসে ভারত মহাসাগর এবং পারস্য উপসাগরেও উপস্থিতি বাড়িয়েছে।
ইরানের শীর্ষ কমান্ডার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় তাদের নৌবাহিনীর উপস্থিতি চলমান থাকবে।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ শুরু হয়েছে মে মাস থেকে। যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে। পরে ইরানের ওপর ব্যাংকিং ও এনার্জি খাতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়া হয়।
ইরান সতর্ক করে বলেছে, যদি মার্কিন চাপের কারণে তেল বিক্রি না করতে পারে, তবে উপসাগরীয় অঞ্চলে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ অঞ্চল দিয়ে অন্য কোনো দেশকে তেল দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানি সেনা ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। তবে সম্প্রতি মাসগুলোতে এসব সংঘর্ষের ঘটনা হ্রাস পেয়েছে।