নারায়ন চন্দ্র রায়: আওয়ামীলীগ সরকারের বৈধতার খেশারত দিল বি এন পি। ২০১৪ এর নির্বাচনে না গিয়ে বি এন পি ভুল করেছে’ এউক্তিটি অনেক রাজনৈতিক দল সহ অনেকেই করেছিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে বি এন পি কে একথা হজম করতে হয়েছে। এমনকি নিজ দলের নেতা কর্মীরা এনিয়ে বি এন পির উর্ধতন নেতা ও নীতি নির্ধারককে কথা শুনিয়েছেন কম নয়।
‘১৪এর বিতর্কিত নির্বাচনে জয়লাভ করে অনেকের মতে ‘অবৈধ সরকার’ এর গ্লানী মাথায় নিয়ে আওয়ামী লীগকে পথ চলতে হয়েছে অনেক সাবধানে। সরকার গঠন করার পর হতেই তাঁরা উন্নয়নের স্রোতের অনুকূলে পাল তুলিয়ে নিজেদের সুনাম প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টার ত্রুটি করে নাই। তারপর সেই কাঙ্খিত ও অনেকের অনাকাঙ্খীত সময় পাঁচটি বছর কেটে গেলো । বি এন পি কে অনেকটা কোনঠাসা হয়েই থাকতে হয়েছিল তাদের নিজেদের দোষেই । ২০১৩ এর আন্দোলন, আগুন, সন্ত্রাস ইত্যাদি আন্দোলনের ভুল পথ অবলম্বন করাই ছিলো প্রধান কারণ । যার ফলে ‘১৪ এর এমন একটা বিতর্কিত নির্বাচন করেও পূর্ণ সময় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে দিতে হয়েছে। তার প্রধান কারণ ‘জনগন’ ! জনগন সন্ত্রাস চায়না, যার জন্য বি এন পি কিছুই করতে পারে নাই। বরং সুযোগ করে দিয়েছে বিরোধী সরকারকে নিজেদের দমন করতে । দলের শীর্ষ নেতা পর্যন্ত তাঁরা অনায়াসে দমন করতে সফল হয়েছে।
বি এন পি কে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে তাঁদের অন্যতম শরীক জামাত ও তার উগ্রবাদী সহযোগীরা। বি এন পি ‘র এই অবস্থায় কি করা উচিত সে বিষয়ে আমি যাবো না । আমি এখন শিরোনামের দিকে অগ্রসর হবো । ঢাকা সিটি করপোরেশনে অংশ নিয়ে প্রথম প্রহরেই পরিকল্পিত ভাবে সরে পড়ার ভুল সিদ্ধান্ত তাঁদের অনেকেই পছন্দ করেন নাই। সুতরাং সরকার তাঁদের দাবী দাওয়া মানুক আর নাইবা মানুক তাঁরা যে নির্বাচনে আসবে এবার এবং শেষ পর্যন্ত থাকবেন তাতে কোন সন্দেহ ছিলো না। আর সেই সুযোগটা ক্ষমতাসীনরা পুরোপুরিই গ্রহন করতে একটুমাত্র দ্বিধা করে নাই।
ক্ষমতাসীনরা মিলিটারীসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সময়মত নামিয়ে সকল বিষয়ে পুরোপুরি তৈরী হয়েই নির্বাচনকে বৈধ করে নিয়েছে। যেসকল বিদেশী পর্যবেক্ষক সংস্থা এসেছিলন তাঁরাও যথাযোগ্য সুষ্ঠ নির্বাচনের বৈধতা দিয়ে গেছেন । ফলে নির্বাচন বৈধ; আওয়ামীলীগকে আর বি এন পি কি করে ঠেকাবে বলুন ! ভোটার বিহীন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে যদি মেয়াদ পূর্ণ করতে পারে আর এখন তো ৮০% ভোটারের অংশ গ্রহনে নির্বাচন!
সুতরাং এখন তো আওয়ামীলীগের বিজয়ের এই বৈধতা বি এন পি কেই দিতে হ’ল।