ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ফোর্তালেজা শহরের চলমান সহিংসতা দমনে প্রায় ৩০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সিয়েরা রাজ্যজুড়ে দোকান, ব্যাংক ও বাসের ওপর হামলা ঠেকাতে এসব সেনা পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে কয়েক ডজন হামলার পর দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেয়।
সংঘবদ্ধ বেশকিছু অপরাধী দল নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় কারাগারগুলোতে গৃহীত নতুন কঠোর পদক্ষেপগুলোর প্রতিবাদে এসব হামলা করা হচ্ছে।
রাজ্যটির কারাগারগুলো কর্তৃপক্ষ কারাগারের ভেতরে মোবাইল ফোনের সিগন্যাল ব্লক করায় এবং দল অনুসারে কয়েদিদের আলাদা করে রাখার নিয়ম তুলে দিয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে অপরাধ দমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জেইর বোলসোনারোর অভিষেক হওয়ার কয়েকদিন পরই সেনা মোতায়েনের বিষয়টি সামনে এলো।
বিচারমন্ত্রী সেরগিও মোরো’র দ্রুততার সঙ্গে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় তার প্রশংসা করেছেন বোলসোনারো। এর আগে মোরো ব্রাজিলের দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক তদন্ত করেছেন, যা অপারেশন কার ওয়াশ নামে পরিচিত।
ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওগুলোতে অপরাধী দলগুলোকে সার্ভিস স্টেশনগুলোতে আগুন লাগাতে দেখা গেছে।
এই সহিংসতায় জড়িত থাকার সন্দেহে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক কারাগার গবেষণা কেন্দ্র ‘ওয়ার্ল্ড প্রিজন ব্রিফ’র তথ্যানুসারে, ব্রাজিল বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ কারাবন্দি জনগোষ্ঠীর দেশ। দেশটিতে সাত লাখেরও বেশি কারাবন্দি আছে।
গত ২৮ অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থি ওয়ার্কার্স পার্টির ফার্নান্দো হাদ্দাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পেয়েছেন ৬৩ বছর বয়সী বোলসোনারো।
তিনি তার অভিষেক ভাষণে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আমাদের জাতীয় লক্ষ্য হলো শৃঙ্খলা ও উন্নতি। এগুলো ছাড়া কোনও সমাজই উন্নত হতে পারে না।