বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এ পদে তিনি ছয় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
যদিও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর তার মেয়াদ পূর্ণ হতে এখনও তিন বছর বাকি আছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত তার দায়্ত্বি পালনের কথা ছিল।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তার পদত্যাগ কার্যকর হবে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, তিনি একটি ফার্মে যোগ দিতে যাচ্ছেন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামো বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে জিম ইয়ং কিম কাজ করবেন।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নয়নে অর্থায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তার মতবিরোধ ছিল। এর মধ্যেই সোমবার বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে জিম ইয়ং কিমের পদত্যাগের এ ঘোষণা আসে।
আপাতত বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় বিশ্বব্যাংকের দায়িত্ব পাওয়া জিম পরিবেশবান্ধব জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়নের ওপর জোর দিয়ে আসছিলেন।
তার সময়ে কয়লা বিদ্যুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নও অনেক কমিয়ে আনা হয়েছিল। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
জিম এক ইমেইলে বিশ্বব্যাংকে তার সহকর্মীদের জানিয়েছেন, দায়িত্ব ছাড়ার পর একটি বেসরকারি ফার্মে তিনি যোগ দেবেন, যারা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করে।
এক বিবৃতিতে জিম বলেন, বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য দূর করার চেষ্টায় বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন ছিল তার জন্য অনেক বড় সম্মানের বিষয়।
বিশ্ব থেকে মহামারী, দুর্ভিক্ষ, শরণার্থী সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করা বিশ্বব্যাংকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেও মন্তব্য করেছেন জিম ইয়ং কিম।
তবে কিম কখনোই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে আসেননি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নীতির সঙ্গে তার বেশ অমিল চলছিল।