যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের প্রিসবিটারিয়ান উইল কর্নেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক কাজী হায়াৎ। সম্প্রতি তার ঘাড়ের একটি রক্তনালীতে ব্লক ধরা পড়েছে।
চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি দেখা যায়নি। আগামীকাল তার ব্রেইনের এনজিওগ্রাম করে ব্লকের পরিমাণ জানা যাবে। ফলাফল অনুকূলে থাকলে সার্জারি করা হবে।
হাসপাতালে হায়াৎ-এর সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন তার ছেলে কাজী মারুফ। ইতোমধ্যে তিনি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বাবার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছেন। নিয়মিত বাবার জন্য দোয়া চাচ্ছেন।
কাজী মারুফ ফেসবুক পোস্টে বলেন, এখন থেকে ১২ অথবা ১৪ ঘণ্টা পর আমার আব্বার ব্রেইনের এনজিওগ্রাম করা হবে। দেখা হবে কতখানি ব্লক আছে। আমি অনুরোধ করবো সবাইকে, সবাই দোয়া কোরবেন। যেন সার্জারি করার উপযুক্ত অবস্থা থাকে এবং উনি পূর্ণ সুস্থ হন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে জানা যাবে আগামীকাল তার সার্জারি হবে কি হবে না। তার শরীরে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বেশি। এ বিষয়টিও মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশে থেকে আসলে সেভাবে খোঁজ-খবর নেওয়া যাচ্ছে না। তবে আশা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হবেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে কাজী হায়াৎ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ১৯৯৩ সালে তার হার্টে সমস্যা দেখা দেয়। তখন তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়েছিল। তখন তিনি ভারতের বিরলা হার্ট সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
এরপর ২০০৪ সালে আবারও সমস্যা দেখা দেয়। তখন তার হার্টে ৪টি রিং বসানো হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওপেনহার্ট সার্জারি করা হয়। গেলো বছরের জানুয়ারি মাসে নতুন করে হার্টে সমস্যা দেখা দিলে এই নির্মাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী তাকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা করান।
কাজী হায়াৎ ১৯৭৪ সালে পরিচালক মমতাজ আলীর সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবিরের সঙ্গে ‘সীমানা পেরিয়ে’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৯ সালে ‘দি ফাদার’ ছবিটি পরিচালনার মধ্যে দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কাজী হায়াৎ অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তিনি অর্জন করেছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার।