logo
আপডেট : 16 January, 2019 10:42
ভালোবাসা দিবসকে পাকিস্তানে ‘বোন দিবস’ ঘোষণা
মেইল রিপোর্ট

ভালোবাসা দিবসকে পাকিস্তানে ‘বোন দিবস’ ঘোষণা

ইসলামি আচারানুষ্ঠান প্রসারে ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার ফয়সালাবাদ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভ্যালেন্টাইন ডে’কে ‘বোন দিবস’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য জাফর ইকবাল রানধাওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য এবং অন্য নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত অনুসারে ক্যাম্পাসে দিবসটি উদযাপনকালে নারী শিক্ষার্থীদেরকে উপহার হিসেবে স্কার্ফ ও আবায়া (বোরকার মতো এক ধরনের পোশাক) দেয়া হবে।

জাফর ইকবাল ডন নিউজ টিভি’র সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘বোন দিবস’ উদযাপনে খুব বেশি সাড়া পাবো কিনা জানি না, কিন্তু আমি মনে করি এটা পাকিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

তিনি বলেন, ইসলামে মুসলিম নারীদেরকে তাদের শরীর ঢেকে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে নারীদের মর্যাদা অনেক উঁচুতে। কিন্তু এখন এই দেশে নারীর ক্ষমতায়নের নামে পশ্চিমা চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটানো হচ্ছে।

অথচ আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি নারীকে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতায়িত করেছে। এছাড়া নারী ও পুরুষের কাজ ভাগ করে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উপাচার্যের দাবি, বোন দিবস উদযাপনের মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারবে যে পাকিস্তানে বোনদেরকে কতটা ভালোবাসা হয়। তার প্রশ্ন, ভাই ও বোনের মধ্যে যে ভালোবাসা এর চেয়ে বড় কিছু আছে কি?

বিশ্বজুড়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে উদযাপিত হলেও গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানে দিবসটি উদযাপন নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ভালোবাসা দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ করেন।