
আফগান সামরিক ঘাঁটিতে তালেবানদের গাড়িবোমা হামলায় দেশটির অন্তত ১২৬ সেনা নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। সোমবার সকালে ওয়ারদাক প্রদেশের মাইদান শাহর সামরিক ঘাঁটি ও একটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ওই হামলা চালানো হয়।
আঞ্চলিক সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সালেম আগারখলিল বলেছেন, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের কাবুলে পাঠানো হয়েছে। প্রদেশের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসরাত রহিমি জানান, সকাল ৭টার দিকে ওই সমন্বিত হামলা চালানো হয়। ওই সময় মাইদান শাহর সামরিক ঘাঁটির গেটে বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলেও জানান তিনি। খবরে বলা হয়েছে, সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধারা হামলা চালিয়েই ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়ে, যে কৌশল তারা অনেক হামলার ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করে।
রাজধানী কাবুল থেকে ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের ওই ঘাঁটিতে এমন সময় হামলা চালানো হল যখন দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। আগের দিন রোববারও পার্শ্ববর্তী রাজ্য লোগারে হামলা চালায় তালেবানরা।
ওই হামলায় আট পুলিশ সদস্য নিহত হয়। আলজাজিরা বলছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তালেবানরা হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যৎ শান্তি আলোচনায় অধিক প্রভাব রাখতে এবং সম্ভবত আরও রাজনৈতিক সুবিধা নিতেই তারা এ কৌশল অবলম্বন করছে।
আফগানিস্তান পুনর্গঠন বিষয়ক বিশেষ মার্কিন মহাপরিদর্শকের তথ্য অনুযায়ী তালেবানরা দেশটির অর্ধেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনে পতন ঘটে তৎকালীন তালেবান সরকারের। দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধ শেষেও তালেবানদের দমাতে না পেরে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে ওয়াশিংটন।
গত বছরের জুলাইয়ে নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু করে মার্কিন সরকার। এ লক্ষ্যে তারা কয়েকটি দেশে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে। কিন্তু তালেবানরা আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সরাসরি বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ তালেবানদের মতে, বর্তমান আফগান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ‘পুতুল’।