পূর্ব উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্রের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।
তাকে রাজসিক স্বাগত জানাতে ঝকঝকে তকতকে হয়ে উঠছে কংগ্রেসের ১২৫ বছরের পুরনো কার্যালয়।
ওই একই দফতরে আগামী দিনে কাজ করবেন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ভিক্টোরিয়ান স্টাইলের আসবাবপত্র ছাড়াও থাকছে সাউন্ড প্রুফ অডিটোরিয়াম।
বিদেশ থেকে ফিরে ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে দলের দায়িত্ব নিতে চলেছেন প্রিয়াংকা। এর আগে প্রয়াগরাজে (পূর্বতন এলাহাবাদ) কুম্ভ মেলায় ‘মৌনি অমাবস্যার’ পুণ্যতিথিতে সংগমে তিনি স্নান করবেন।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস বলছে, কুম্ভ মেলায় স্নান সারার পর প্রিয়াংকা ও তার বড় ভাই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্নৌতে একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করবেন। রাহুল-প্রিয়াংকার মা সোনিয়া গান্ধী ২০০১ সালে কুম্ভ মেলায় স্নান করেছিলেন।
প্রিয়াংকাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসা নিয়ে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে নতুন আগুন্তুকের জন্য সমাজবাদী পার্টি খুবই খুশি। কংগ্রেস ও দলের প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে চমৎকার এ সিদ্ধান্তের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি।’
নির্বাচনের আগে কাদা ছোড়াছুড়ি এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ যদিও ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন নয়। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখার পর থেকেই লাগাতার প্রতিপক্ষের হাতে হেনস্থা হচ্ছেন প্রিয়াংকা। আনুষ্ঠানিকভাবে যদিও এখনও কাজ শুরু করেননি তিনি।
তবে প্রিয়াংকার রাজনীতিতে পা রাখা নিয়ে একের পর এক তোপ দেগে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এবার সে কাতারে শামিল হয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও বিজেপির রাজ্যসভা সদস্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
কৈলাস বলেন, ‘লোকসভা ভোটে নিজেদের আসন পাকা করতে কংগ্রেস এখন ‘চকোলেট ফেসে’র সন্ধানে নেমেছে। তাই প্রিয়াংকা গান্ধীকে সাধারণ সম্পাদকের পদে বসিয়েছেন রাহুল। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তাকে বলিউড তারকা সালমান খান, করিনা কাপুরসহ অন্যদের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে কৈলাস কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এ থেকে প্রমাণিত হয়, কংগ্রেস নিজের আÍবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এখন লোকসভা ভোটে লড়ার মতো কোনো নেতা নেই।
তাই দলের ভোট ব্যাংক বাড়াতে ‘চকোলেট ফেসে’র সন্ধানে নামতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেসে রাহুলের নেতৃত্বের উপর ভরসা নেই। তাই তাকে ব্যাকফুটে ফেলে প্রিয়াংকাকে সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসা হয়েছে।’ প্রিয়াংকার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
তার দাবি, মানসিকভাবে সুস্থ নন প্রিয়াংকা। তার আচরণ অত্যন্ত হিংস্র। জননেত্রী হওয়ার উপযুক্ত নন তিনি। রোববার এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বামী বলেন, ‘প্রিয়াংকা একটি বিশেষ রোগে আক্রান্ত, যা জনজীবনের পক্ষে একেবারেই অনুকূল নয়।