logo
আপডেট : 30 January, 2019 02:37
পরিবারসহ শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল আইএসআই
মেইল রিপোর্ট

পরিবারসহ শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল আইএসআই

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ঢাকা-কেন্দ্রিক একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দি ইকোনোমিক টাইমস’।

এসব সূত্র জানায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে পাকিস্তানের আইএসআই’র করা এই পরিকল্পনা বন্ধুতুল্য সহযোগীদের সমর্থন নিয়ে ব্যর্থ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। এই অভিযানের জন্য বিপুল অস্ত্রশস্ত্র পাচার করা হয়।

আরও জানায়, আইএসআই’র লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাভিদ মোক্তার এই পরিকল্পনায় বড় ধরনের ভূমিকা পালন করেন বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া কিছু আইএসআই এজেন্ট, বাংলাদেশ নেভি এবং কোস্টগার্ডের সদস্য এতে জড়িত ছিলেন। পাকিস্তানপন্থি মৌলবাদী দল জামায়াতে ইসলাম এই অভিযানে কোনও ভূমিকা রাখে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

সূত্রগুলো জানায়, ২০০৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ১০ ট্রাক অস্ত্রপাচারের মতোই ৩০ ডিসেম্বরের আগে গ্রিক পতাকাবাহী একটি জাহাজ একে-47, বন্দুক ও গ্রেনেড নিয়ে বাংলাদেশের একটি বন্দরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু জাহাজটি মাঝপথে ডুবে যায়।

দি ইকোনোমিক টাইমস আরেকটি সূত্র দিয়ে জানায়, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল পরিবারসহ প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে হত্যা করা এবং বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। এছাড়া জাহাজটি থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ঢাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল।

দি ইকোনোমিক টাইমস ঢাকা-কেন্দ্রিক আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি নেতা এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমান এবং ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনকে এই পরিকল্পনায় সহযোগীর ভূমিকা পালনের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিছু স্থানীয় বিএনপি নেতা এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে কিছুই জানতো না।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, তারেক রহমান, দাঊদ ইব্রাহিম এবং ইউএলএফএ নেতা পরেশ বড়ুয়ার(চীন-ভিত্তিক বলে অভিযুক্ত) বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে অস্ত্রপাচার মামলায় অভিযোগ দাখিল করা হয়। এর আগে হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত ও আহত হন।

এর আগে গণমাধ্যমটিতে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয় যে, আইএসআই দুবাই-ভিত্তিক এজেন্টদের মাধ্যমে পাকিস্তানপন্থি বিএনপি এবং মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় আনতে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই এবং অর্থ সরবরাহে সহযোগিতা করে।

আরও বলা হয়, তারেক রহমান এ ক্ষেত্রে মাধ্যমের ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তারেকের সহযোগী এবং আইএসআই’র দুবাই-ভিত্তিক এজেন্টের মাধ্যমে এসব অর্থ হস্তান্তর করা হয়।