রোমান্স স্ক্যাম বা প্রেমে প্রতারণার শিকার পুরুষদের চাইতে নারীরাই বেশি হন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে পরিচালিত এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, গত বছর রোমান্স স্ক্যামের ফাঁদে পড়ে গড়ে প্রত্যেকে ১১ হাজার ১৩৫ পাউন্ড অর্থ হারিয়েছে।
পুলিশের রিপোর্টিং সেন্টার ‘অ্যাকশন ফ্রড’ এর তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে খোয়ানো অর্থের পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি পাউন্ড। এখানে প্রতারকরা মূলত মিথ্যা প্রেমের জাল বিছিয়ে রোমান্সের ভান করে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে।
সাধারণত তারা ‘ছলে-বলে-কৌশলে’ অর্থ পাঠাতে বাধ্য করে বা টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। আবার অনেক সময় তারা অর্থ সম্পদ লুট করতে রোমান্সের নামে ব্যক্তিগত সব তথ্য হাতিয়ে নেয়। ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’কে সামনে রেখে রোমান্স স্ক্যামের এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন অনলাইন ডেটিং ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু ঠিক করে প্রতারকরা। এ সময় তারা ফেক প্রোফাইল ব্যবহারের মাধ্যমে ভিক্টিমদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে।
হিসাব বলছে, যুক্তরাজ্যে গত বছর অ্যাকশন ফ্রডে রোমান্স জালিয়াতির ৪ হাজার ৫৫৫টি অভিযোগ জমা পড়ে। এই রোমান্স স্ক্যাম থেকে মোট যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা ২০১৭ সালের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি।
তবে এই প্রতারণার ঘটনার মূল সংখ্যা আরও বড় বলে জানিয়েছে পুলিশ। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এই বিষয়গুলোকে সামনে না এনে নিভৃতেই এই কষ্ট ও ক্ষতির বোঝা বয়ে বেড়ান ভিক্টিমরা। অ্যাকশন ফ্রডের তথ্যমতে, রোমান্স জালিয়াতির শিকার নারী পুরুষের গড় বয়স ৫০ বছর এবং এর শিকার ৬৩ শতাংশ নারী। তারা পুরুষদের তুলনায় গড়ে দুই গুণ বেশি অর্থ-সম্পদ হারায়।