যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত এইচ-1বি ভিসাধারীদের মধ্যে এক লাখ ৪০ জনকে প্রতি বছর গ্রিন কার্ড দেয়া হয়। কোনও দেশের সর্বোচ্চ নয় হাজার ৮০০ জনকে গ্রিন কার্ড দেয়া হয়। কিন্তু এই সীমাবদ্ধতা আর থাকবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভ এবং উচ্চকক্ষ সিনেটে এ সংক্রান্ত একটি বিল ইতোমধ্যে উত্থাপিত হয়েছে।
গত সপ্তাহে ‘ফেয়ারনেস ফর হাই স্কিলড ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট ২০১৯’ নামের বিলটি হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভে উত্থাপন করেন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট রেপ্রেজেন্টেটিভ জো লফগ্রেন এবং আইওয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান রেপ্রেজেন্টেটিভ কেন বাক।
বুধবার সিনেটে বিল উত্থাপন করেন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট সিনেটর কমলা হ্যারিস এবং উটাহ থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান মাইক লি। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির পাশাপাশি চেম্বার অব কমার্স, গুগল এবং সিলিকন ভ্যালির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোও বিলটিকে সমর্থন করছে।
এই বিল পাস হয়ে নতুন আইন হলে বিপুল জনসংখ্যার দেশ থেকে আবেদনকারীদের অল্প অপেক্ষায় গ্রিন কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডকে বলা হয় ‘পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড’। কেউ একবার এই কার্ড পেলে সারাজীবন দেশটিতে বসবাস ও চাকরি করতে পারে।
ভারত ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এইচ-1বি ভিসায় সিলিকন ভ্যালির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে কাজ করতে যান। এই ভিসার একটি মেয়াদ থাকে, যা শেষ হলে নবায়ন করতে হয়। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে অনেক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে আবেদনকারীদের।