সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে দেইর এজ-জর প্রদেশে গত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে সূত্রগুলো বলছে, প্রদেশটির বাগোজ শহরে আইএস এর অবস্থান লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়।
তবে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ওই অঞ্চলর দখল নেয় পিকেকে। সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফরাসি বাহিনীর হামলায় আইএসর বিরুদ্ধে অভিযান চারায় তারা। বর্তমানে শুধু বোগোজ শহরেই আইএসের উপস্থিতি রয়েছে।
জানা গেছে, সিরিয়ার পুরো সীমানার প্রায় এক-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ওয়াইপিজি/পিকেকে’র হাতে। তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় পিকেকে’র নাম রয়েছে। সিরিয়ার অংশে কর্মকাণ্ড চালানো ওয়াইপিজি এই পিকেকে’র একটি অংশ।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। সিরিয়ার চলমান সংকট নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিপরীতধর্মী।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা আসাদ সরকারের বিদ্রোহ ঘোষণাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে।