উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন তার দেশের ওপর থেকে সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে জোর দেয়ায় কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে এই দুদিনের সম্মেলন।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, এবারের সম্মেলনে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। উভয়পক্ষই ভবিষ্যতে আরও বৈঠকের আশা করছে।
এবারের বৈঠককে সিঙ্গাপুরে গত বছরের ১২ জুনে হওয়া প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি না থাকায় সিঙ্গাপুরের ওই বৈঠকের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।
এর পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সামান্য অগ্রগতি দেখা গেলেও নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। সমালোচকদের সুনির্দিষ্ট অগ্রগতির প্রমাণ দেখাতে এবারও ব্যর্থ হলো এ বৈঠক।
ট্রাম্প অবশ্য শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগেই প্রত্যাশার লাগাম টেনে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই তার। আমি কারও ক্ষেত্রেই তাড়াহুড়ো করতে চাই না।
এর আগে বুধবার হ্যানয়ের সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন।
২০ মিনিটের বৈঠকের পর দুই নেতা রাতের খাবারে মিলিত হন। সেখানে ট্রাম্প-কিমের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও উত্তরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো এবং উভয় দেশের উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
এ নৈশভোজের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল ট্রাম্প ও কিমের দ্বিতীয় পরমাণু সম্মেলন।