ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা সম্পর্কে তথ্য দিতে ১০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আল-কায়দা প্রধান লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় হত্যা করে মার্কিন সেনাবাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে হামজা বিন লাদেন জঙ্গি দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
বলা হয়, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের যে বাড়িতে আল-কায়দা নেতাকে হত্যা করা হয় সেখানে তল্লাশি অভিযানে লাদেনের হাতে লেখা কয়েকটি চিঠি পাওয়া যায়। ওই সব চিঠিতে হামজাকে নিজের সবচেয়ে প্রিয় পুত্র বর্ণনা করে লাদেন তাকে আল-কায়দার পরবর্তী নেতা হিসেবে গড়ে তুলছিলেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপ মন্ত্রী মাইকেল ইভানফ বলেন, “আমাদের বিশ্বাস হয়তো সে (হামজা) এখন আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের কোথাও লুকিয়ে আছে এবং সেখান থেকে ইরানে চলে যাবে। যদিও সে দক্ষিণ মধ্য এশিয়ার যে কোনো জায়গায় থাকতে পারে।”
গত কয়েক বছরে হামজার কয়েকটি ভিডিও এবং অডিও অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে। যেগুলোতে তিনি আল-কায়দার অনুসারীদের তার পিতার হত্যার বদলা নিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর উপর হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
হামজার বয়স ৩০’র কোটায় বলে ধারণা করা হয়। দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভূক্ত করে বলে জানায় বিবিসি।
আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আতার মেয়েকে বিয়ে করেছেন হামজা। ২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার জন্য যে চারটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করা হয়েছিল তার একটিতে আতা ছিলেন।
হামজা দীর্ঘদিন তার মায়ের সঙ্গে ইরানে বসবাস করেছেন বলে ধারণা করা হয়। এমনকি তার বিয়ের অনুষ্ঠানও ইরানেই হয়েছে বলে বিশ্বাস মার্কিন কর্মকর্তাদের।
অন্য আরো কয়েকটি রিপোর্টে হামজা পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা সিরিয়ায় বসবাস করছেন বলেও ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।