বিশেষ প্রতিনিধি, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না হিলারি ক্লিনটন। সোমবার নিউইয়র্কের স্থানীয় টিভি চ্যানেল নিউজ ১২ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান। তবে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে মতবিরোধ এবং সমালোচনার মুখে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না সে বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
সর্বশেষ নির্বাচনে ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়নে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিলারি। জয়ের ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী এবং প্রচুর জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও নাটকীয়ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান তিনি। এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বারাক ওবামার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। পরে ওবামা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিলারি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর রাজনীতি থেকে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে রাখেন তিনি।
আগামী ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি বার্ণি স্যান্ডার্স ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন। ডেমোক্র্যাট দলের অনেক সিনিয়র নেতারাও চান না হিলারি আগামী নির্বাচনে হিলারি প্রার্থী হোক। দলের নীতি নির্ধারক কয়েকজন নেতার সাথে সম্প্রতি একটি বৈঠকও হয়েছে তার।
তবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি ওই টিভি সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। তবে আমি যা বিশ্বাস করি তার জন্যে কাজ করে ও কথা বলে যাব।’ হিলারি বলেন, ‘আমি কোথাও যাচ্ছি না। বর্তমানে আমার দেশে যা হচ্ছে, তা আমাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে।’
সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিউইয়র্কের সিনেটর আরও বলেন, ‘আমি নিউইয়র্কে থাকতে ভালবাসি। আট বছর একজন সিনেটর হিসেবে আমাকে এই নগরীতে বাস করার ও রাজ্যের বাসিন্দাদের সাথে কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
হিলারি ক্লিনটনের নেওয়া এ সিদ্ধান্তে ফলে এখন তার দল থেকে কে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন তা নিয়ে এখনও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। সাক্ষাৎকারে আবারও রাষ্ট্রীয় কোন দপ্তরে দায়িত্ব পালন করবেন কিনা এমন প্রশ্নে হিলারি সেই সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন।
তবে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ভেতরে ভেতরে মনোনয়র পাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং দলের হাই কমান্ডের সাথে লবিং করছেন এমন কথাও ভেসে বেড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির বাতাসে।