logo
আপডেট : 12 March, 2019 10:31
৫ সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ইরান-ইরাক
মেইল রিপোর্ট

৫ সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ইরান-ইরাক

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির বাগদাদ সফরের প্রথম দিনে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য খাতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ স্বাক্ষর করেছে ইরান ও ইরাক।

প্রেসিডেন্ট রুহানি এবং ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল-মাহদির উপস্থিতিতে সোমবার বাগদাদে এসব সমঝোতা স্মারকে সই করেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এসব স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন প্রতিবেশী দুই দেশের মন্ত্রীরা।

এসব সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও তেল শিল্পখাতে সহযোগিতা জোরদার করবে তেহরান ও বাগদাদ। একইসঙ্গে দু’দেশ ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শালামচে শহর ও ইরাকের বসরা নগরীর মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনে সম্মত হয়েছে।

এ ছাড়া, ইরাক ও ইরান সরকার দু’দেশের নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে ভিসা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা আগামী মাস থেকে কার্যকর হবে। আরেকটি সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ইরানের শিল্প, বাণিজ্য ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইরাকের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্বিপক্ষীয় ব্যবসার সুযোগসুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে।

এর আগে সোমবার বাগদাদ পৌঁছনোর পর প্রেসিডেন্ট রুহানিকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহ।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সোমবার থেকে তিনদিনের ইরাক সফর শুরু করেছেন। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম তিনি বাগদাদ সফরে গেলেন।

এমন সময় এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মার্কিন সরকার ইরাক ও ইরানের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। সেইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব কমানোর জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।

এর আগে রুহানির এক সফরসঙ্গী ইরাক সফর নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে বলেন, ‘আমেরিকার অন্যায্য অর্থনৈতিক অবরোধকে অগ্রাহ্য করে তিনতিনের এ সফরের মাধ্যমে ইরাকের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করা হবে।’ এই সফরকে ইরানের অর্থনীতির জন্য একটি ‘সুযোগ’বলেও আখ্যায়িত করেছেন ওই ব্যক্তি।

রুহানির এই সফর যুক্তরাষ্ট্রকে এই বার্তা দিচ্ছে যে, মার্কিন সরকারের প্রভাব বিস্তারকারী বাগদাদের সঙ্গে এখনও ইরানের একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

এমনকি ওয়াশিংটন তেহরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার পরও দেশটিতে সফর করছেন রুহানি। যদিও এ সফর নিয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।