নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে শুক্রবার বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। দুটি মসজিদই ক্রাইস্টচার্চ শহরে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৪৮ জন। হতাহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরদার্ন জানিয়েছেন, ক্রাইস্টচার্চের লিনউড ও হ্যাগলি পার্ক এলাকার কাছের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের পর হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে লিনউড মসজিদে ১০ জন এবং হ্যাগলি পার্ক এলাকার কাছে দিনস অ্যাভিনিউ মসজিদে ৩০ জন নিহত হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘কয়েকটি এলাকায় আমরা নতুন পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছি। এটা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচয়ে অন্ধকারময় দিন।’
তিনি আরো জানিয়েছেন, আটককৃতদের নাম সন্ত্রাসী তালিকায় ছিল না। এদের মধ্যে তিনজনকে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এবং একজনকে পৃথকভাবে আটক করা হয়েছে। কেউ নজরদারির আওতা থেকে বেরিয়ে গেছে বিষয়টি তেমন নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারীর পরনে সামরিক ধাঁচের পোশাক ছিল। তার হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিল এবং আল-নূর মসজিদে প্রবেশের পর সে নির্বিচারে গুলি চালায়।
লেন পেনেহা নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পুলিশ আসার আগেই ওই বন্দুকধারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি মসজিদের ভেতরে সাহায্যের জন্য গিয়েছিলাম। আমি সব জায়গায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি।’
মসজিদ থেকে বের হয়ে আসা রক্তাক্ত পোশাকের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি একটি বেঞ্চের আড়ালে লুকিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। মসজিদটির ভেতরে প্রায় ৫০ জন মুসল্লি ছিল।
স্যাম ক্লার্ক নামে টিভি এনজেডের এক সাংবাদিক প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেছেন, হামলার সময় অনেকে দরজা-জানালা দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদের কারো কারো বয়স ১৬ বছরের মধ্যে।
তিনি আরো জানান, মসজিদের বাইরে ১০ থেকে ১৫ জনকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে কেউ বেঁচে আছে এবং কেউ মারা গেছে।