কারচুপির অভিযোগ এনে ডাকসুর ভোটের ফল বাতিলের দাবিতে রোকেয়া হলের পাঁচ ছাত্রী একদিনের মধ্যেই আলটিমেটাম দিয়ে অনশন স্থগিত করেছেন। তবে রাজু ভাস্কর্যে পাদদেশে থাকা আরেকদল শিক্ষার্থীর অনশন চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে।
গত মঙ্গলবার এ অনশন শুরু করেন তারা। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসন ফল বাতিল না করার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
এখন পর্যন্ত সাত জন শিক্ষার্থী এ অনশনে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মীম আরাফাত মানব, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের তাওহীদ তানজীম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শোয়েব মাহমুদ অনন্ত, পপুলেশন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের মো. মাঈনউদ্দিন, দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের অনিন্দ্য মণ্ডল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রাফিয়া তামান্না এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আল মাহমুদ তাহা। এই সাতজন সকলেই ডাকসু ও বিভিন্ন হল সংসদের প্রার্থী ছিলেন।
অনশনরত ডাকসুর আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী মীম আরাফাত মানব বলেন, যতক্ষণ পুননির্বাচনের ঘোষণা না আসবে ততক্ষণ অনশন চলবে।
অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী শোয়েব মাহমুদ অনন্ত, আমার হলে ৮০ শতাংস শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোট দেয়ার অধিকার এবং একটি সুষ্ঠু ডাকসু নির্বাচন চেয়েছিলাম কিন্তু প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে আজ বিকেলে চারটায় ভুখা মিছিল ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত পাঁচ প্যানেল।
এদিকে, নির্বাচনের ফল বাতিলে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে পাঁচ প্যানেল। গতকাল বুধবার পাঁচ প্যানেলের পক্ষে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি প্রার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী এ ঘোষণা দেন। শনিবার আলটিমেটাম শেষ হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান থাকলেও অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি আখতারুজ্জামান। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও পুনরায় নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।