যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।
মঙ্গলবার ডেপুটি হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কমিশনের চ্যান্সেরিতে ডেপুটি হাইকমিশনারের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সদস্যরাও যোগ দেন।
পতাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে মিলে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বার্তা পড়ে শোনানো হয়।
ডেপুটি হাইকমিশনার নূর-ই হেলাল সাইফুর রহমান বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন পূরণে প্রবাসীদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। গণহত্যার জন্য জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাদের প্রচেষ্টাকে আরো জোরদার করেছে।