মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডা: তুন মাহাথির মুহাম্মদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমদ সিদ্দিকি।
বুধবার লাঙ্কাউই ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়া মেরিটাইম অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এক্সিবিশনে সাক্ষাৎ করেন তিনি। উভয় দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন ডা: মাহাথির মুহাম্মদ।
বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। উভয় দেশেই নতুন সরকার তাই সম্পর্কে নবউন্মেষ হবে এ প্রত্যাশা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। তিনি স্মৃতিচারণ করেন।
মাহাথীর মুহম্মদের সঙ্গে আলাপকালে নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারেক আহমদ সিদ্দিকি বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং হচ্ছে।
এ জন্য মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগান নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে।
সে মোতাবেক বাংলাদেশ হতে প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ লোক নিয়োগ করতে পারে মালয়েশিয়া।
যেহেতু মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি করে শ্রম নিয়োজন শুরু করেছে সেহেতু কর্মরতদের বৈধতা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন এবং নব নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহারেও অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে ডা. মাহাথির মুহাম্মদ আশা প্রকাশ করে বলেন, নিয়ম-কানুন ও পলিসি মোতাবেক দ্রুত সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সাক্ষাৎকালে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের নির্যাতিতরা বিপুল পরিমাণে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং বাংলাদেশ এ সকল অসহায় লোকদের পাশে থেকে যে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তাতে সাধুবাদ জানান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সুষ্ঠু সমাধান প্রত্যাশা করেন।
বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধতা পেয়েছে।
নিরাপত্তার উপদেষ্টার আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে মাহাথির মুহাম্মদ যথাশিগিগর বাংলাদেশ সফরের আশ্বাস দেন ।
সাক্ষাতকালে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব, হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম এবং দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এয়ার কমডোর মো: হুমায়ূন কবির সঙ্গে ছিলেন।
নিউইয়র্ক মেইল/মালয়েশিয়া/২৮ মার্চ ২০১৯/আহমাদুল কবির/এইচএম/