logo
আপডেট : 29 March, 2019 02:33
ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
দেশে দেশে বর্ণবাদবিরোধী আইন করবে ইউরোপ
মেইল রিপোর্ট

দেশে দেশে বর্ণবাদবিরোধী আইন করবে ইউরোপ

ইউরোপজুড়ে বর্ণবাদ বন্ধে মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পাস করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। এ প্রস্তাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোকে আফ্রিকান বংশোদ্ভূতদের জন্য বর্ণবাদবিরোধী নীতি তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাবটি ৫৩৫-৮০ ভোটে অনুমোদন পেয়েছে। ভোট দেননি ৪৪ এমপি।

এছাড়া জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ইউরোপজুড়ে গ্রীষ্মকালে ঘড়ির কাঁটা বাধ্যতামূলক এক ঘণ্টা এগিয়ে দেয়ার যে নিয়ম চালু আছে তা বন্ধের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। একই দিন ইউরোপের সাত দেশকে কর স্বর্গ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। খবর বিবিসি ও আনাদোলু এজেন্সির।

বর্ণবাদ বন্ধের প্রস্তাবে শিক্ষা, হাউসিং, স্বাস্থ্য, ফৌজদারি বিচার, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং অভিবাসনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আইন প্রণয়নে ইইউ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ প্রস্তাব ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকতার নামে অতীতের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ইউরোপীয় দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করবে। আফ্রিকা ভীতি থেকে সংঘটিত হামলাকে বর্ণবাদী, বৈষম্যমূলক এবং বিদেশিদের প্রতি অহেতুক ভীতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ হেফাজতে আফ্রিকানদের সঙ্গে যেন বাজে আচরণ করা না হয় তার ওপরও জোর দিয়েছে ইইউ পার্লামেন্ট। এছাড়া প্রস্তাবে বর্ণবাদী সন্ত্রাস মোকাবেলারও তাগিদ দেয়া হয়েছে।

ইউরোপজুড়ে গ্রীষ্মকালে ঘড়ির কাঁটা বাধ্যতামূলক এক ঘণ্টা এগিয়ে দেয়ার নিয়ম বন্ধের প্রস্তাবটি ৪১০-১৯২ ভোটে পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবের আওতায় ২০২১ সাল থেকে দুটি পথ খোলা থাকবে। বছরে দু’বার ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের ব্যবস্থা চালু রাখা অথবা এ নিয়ম বাদ দেয়া।

এ বিষয়ে মন্ত্রীদের মতামতও গ্রহণ করা হবে। বর্তমান ব্যবস্থায় ‘ডেলাইট সেভিং টাইম’ (ডিএসটি) বা দিনের আলো সংরক্ষণের জন্য ইইউ দেশগুলো বছরে দু’বার ঘড়ির কাঁটায় পরিবর্তন আনে। এ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই মার্চের শেষ রোববার ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে আর অক্টোবরের শেষ রোববারে পিছিয়ে দেয়া হয়। ২০০১ সাল থেকে ডিএসটি বাধ্যতামূলক করা হয়।

মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণে ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি ভিসা ও পাসপোর্ট বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইইউ পার্লামেন্ট। পাশাপাশি সাত দেশকে কর স্বর্গ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দেশগুলো হল- লুক্সেমবার্গ, সাইপ্রাস, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, হাঙ্গেরি, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস।

এদিকে, ২০২২ সালের মধ্যে গাড়ির গতি স্বয়ক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রযুক্তির পরিকল্পনা করছে ইউরোপ। রাস্তায় পথচারী, সাইক্লিস্ট বা অন্য গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরিস্থিতি তৈরি হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরুরি ব্রেক কষবে গাড়ি। প্রস্তুত হওয়ার পর থেকেই নতুন গাড়িতে এটি সংযুক্ত থাকবে। অর্থাৎ গাড়িতে এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে।