logo
আপডেট : 2 April, 2019 02:28
ব্রেক্সিট নিয়ে চতুর্থবারের মতো চেষ্টা করবেন মে
মেইল রিপোর্ট

ব্রেক্সিট নিয়ে চতুর্থবারের মতো চেষ্টা করবেন মে

ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টের এমপিদের ভোটে আবারও হেরে গেলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।

শুক্রবারের ভোটে চুক্তির পক্ষে পড়েছে ২৮৬ এবং বিপক্ষে পড়েছে ৩৪৪ ভোট। এতে আরও অনিশ্চয়তায় পড়ল যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা।

তবে ব্রেক্সিট চুক্তি পাসে চতুর্থবারের মতো চেষ্টা করবেন তেরেসা মে। এমপিদের সমর্থন পেতে শিগগিরই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে তোলার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর ‘বিকল্প উপায় খুঁজতে’ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। 

এদিন তৃতীয়বারের মতো পার্লামেন্টে তোলা হয় চুক্তিটি। তেরেসার জোর অনুরোধ সত্ত্বেও চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন ৩৪৪ এমপি। পক্ষে ২৮৬ ভোট।

ফলে ৫৮ ভোটের ব্যবধানে নাকচ হয়ে যায় চুক্তিটি। এর মধ্যদিয়ে আগামী ২২ মে পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্ব করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায় ব্রিটেনের। এখন ব্রেক্সিট কবে হবে বা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

ব্রেক্সিট নিয়ে চলমান সংকটের সম্ভাব্য সমাধানের উপায় হিসেবে নানা ধরনের প্রস্তাবের ওপর এমপিরা আগামী সোমবার ভোট দেবেন।

তাদের এই ভোট দেয়ার প্রক্রিয়াটিকে বলা হচ্ছে ইনডিকেটিভ ভোট অর্থাৎ ইঙ্গিতবহ ভোট। কেমন সমাধান এমপিদের কাছে গ্রহণযোগ্য, সেটা প্রকাশ করাই এর উদ্দেশ্য।

গত বুধবারও পার্লামেন্টে ৮টি বিকল্প নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়। তবে সরকার এর কোনোটাই মেনে নেয়নি বলে জানিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ব্রানডন লুইস।

বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন প্রধানমন্ত্রী তেরেসাকে তার চুক্তিটি পরিবর্তন নতুবা যত দ্রুত সম্ভব পদত্যাগের আহ্বানও জানিয়েছেন।

কিন্তু তেরেসার অফিস বলছে, হাউস অব কমন্সে এমপিদের সর্মথন পেতে চেষ্টা অভ্যাহত রাখবেন তেরেসা। তাদের যুক্তি, ‘পার্লামেন্টে পক্ষে-বিপক্ষে ভোটের ব্যবধান ক্রমেই কমে যাচ্ছে।

দ্বিতীয়বারের চেয়ে তৃতীয়বারের ভোট ব্যবধান ১৪৯ থেকে ৫৮-তে নেমে এসেছে।’ কিন্তু পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তির চূড়ান্ত পরাজয় হয়েছে মন্তব্য করে তেরেসাকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন ব্রেক্সিটপন্থী কনজারভেটিভদের ইউরোপীয় রিসার্চ গ্রুপের ডেপুটি চেয়ারম্যান স্টিভ বেকার।

তিনি বলেন, ‘চুক্তি পাস হয়নি। এটি পাস হবেও না। এখন তেরেসার উচিত নতুন নেতা আসার পথ করে দেয়া। যিনি একটি ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে পাস করাতে পারবেন।’