প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিজনাল ও নন-সিজনাল ভিসায় ইতালিতে কাজ করার সুযোগ পায় বিদেশিদের নাগরিকেরা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০ হাজার ৮৫০ জন শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
তবে বিভন্ন কারনে এবারো এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশকয়েকটি দেশ। এ নিয়ে সাত বছর ধরে সিজনাল ভিসায় ইতালিতে প্রবেশ করতে পারছে না বাংলাদেশিরা।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল (মিনিসতেরো দেল ইনতেরনো) ওয়েবসাইটে দেশটিতে বিদেশী শ্রমিক আনার ব্যাপারে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ওই গেজেটে নাম নেই বাংলাদেশের।
ইতালির জনপ্রিয় নিউজপেপার “লা রিপুবলিকা”র প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব নাগরিকদের ইতালিতে প্রবেশের জন্য পর্যায়ক্রমে বেশকয়েক্টি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। কৃষি, স্বনির্ভর, অধস্তন সিজনাল চাকরি এবং পর্যটন হোটেল ইত্যাদি কাজের ক্যাটাগরিতে এসব নাগরিকেরা এদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) থেকে আবেদনপত্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। তবে কুটনৈতিকভাবে এর কোন সমাধান দিতে পারেনি ইতালিতে নিযুক্ত রোম বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিলান কনসাল জেনারেল অফিস।
অনেকেই ধারনা করছেন, কূটনৈতিক আলোচনার অভাবেই গত সাত বছর যাবত ইতালিতে প্রবেশের এসব ক্যাটাগরির ভিসা পাচ্ছে না বাংলাদেশের নাগরিকেরা।
এ বিষয়ে ইতালি বাংলা কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এম কে রহমান লিটন বলেন, অতীতের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ইতালি সরকারের নির্ধারিত নিয়মনীতি না মানার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরফলে বিগত সাত বছর যাবত বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে সিজনাল ভিসায় প্রবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকেরা।
এছাড়াও মিলান প্রবাসী নজরুল ভুঁইয়া ও রুহুল আমিন বলেন, নানা কারনে বাংলাদেশীরা এসব ভিসা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় দেশেও বঞ্চিত হচ্ছে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি থেকে। অচিরেই কূটনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সঠিকভাবে সরকার এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।
নিউ ইয়র্ক মেইল/১২ এপ্রিল ২০১৯ইং/মিলান, ইতালি/সাইফুল ইসলাম মুন্সী/এইচএম