বাংলা সনের প্রথম দিনটিকে বরণ করে নিতে মালয়েশিয়ায় বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখিয়েছে যে বৈশাখ, পুরনোকে পেছনে ফেলে নতুনকে বরণ করে নিতে বছর শেষে আবার আসছে সেই বৈশাখ।
আর দু'দিন পরই পহেলা বৈশাখ। ১৪২৬ বাংলা বছরের প্রথম দিন। বৈশাখের প্রথম দিনটি ঘিরে গান-বাদ্য আর উৎসব-আমেজে মেতে ওঠা বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য। বাংলা সনের প্রথম দিনটিকে বরণ করে নিতে মালয়েশিয়ায় বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন রঙের মিশ্রণে অনবদ্য শৈলীর আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা হয়েছে। বিতরণ চলছে দাওয়াতনামা। প্রবাসীদের আয়োজনে প্রতিবারের মতো এবারও বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে।
সময়ের পরিক্রমায় মালয়েশিয়ায় বৃহৎ ও সার্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন অনেকে। এমনটাই জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপাট ইন মালয়েশিয়া এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
এদিকে ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ এক্সপাট ইন মালয়েশিয়ার বৈশাখী আয়োজনে রয়েছে পান্তা ইলিশ ভোজন এবং দিনভর বাউল গানের আসর। বাঙালির নিজস্ব উৎসবের একটি হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দিনটির মাধ্যমে স্বাগত জানাবে নতুন বছরকে।
বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার, ইতিহাস ও ঐতিহ্য এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
এছাড়া ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক পহেলা বৈশাখ পালন করা হবে। এ নিয়ে ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। চলছে নাচ-গান আবৃত্তির রিহার্সেল।
২০ এপ্রিল কুয়ালালামপুরের ক্যাফ্ট কালচারাল কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন (এমবিএ) দিনব্যাপী নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয়, কৌতুক ও বৈশাখী মেলার আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
নিউ ইয়র্ক মেইল/১২ এপ্রিল ২০১৯ইং/মালয়েশিয়া/আহমাদুল কবির/এইচএম