সুরের মূর্ছনায় মালয়েশিয়ার সেগী কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলা নতুন বছর ১৪২৬ সালকে বরণ করে নিল বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা।
‘আনন্দ, আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও মানবতা’ এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু করে মালয়েশিয়ার কুটা দামান সারা সেগী কলেজের হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম মেনেজমেন্টের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১১ টা থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে শুরু হয় বর্ষবরণের আয়োজন। বাহারি রং এর পোশাকে শিক্ষার্থীরা সুর-ছন্দ আর তালে তালে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় তারা।
বর্ষবরণের এ আয়োজনে প্রবাসে দেশীয় সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে মানবতা, দেশপ্রেম ও উদ্দীপনামূলক কালজয়ী গান গেয়ে আবারও দেশের সম্মান কুড়াল কুমলমতি শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে গান, কবিতা আর বাদ্যযন্ত্রের মুর্ছনায় আগত বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বিমোহিত হয়ে যান। অনেকে শিল্পীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত করে তোলেন।
আয়োজন করা হয় বাহারি রকমের বৈশাখী খাবারের।
অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো: রাজিবুল আহসান। এ ছাড়া সেগী কলেজের প্রিন্সিপাল নূরম্যান চু সিউ জুইন,অপারেশন প্রধান উদা চেইন মেং লি, মোহাম্মদ ফেরদাউস লু, ডিপার্টমেন্ট অফ হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম বোনি লোপেজ, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মকবুল হোসেন, নাজমুল ইসলাম বাবুল, মো: আবু হানিফ, এসকে সেন্টু সাংবাদিক আহমাদুল কবির, ফরহাদ হোসেইন, একরামুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: রাজিবুল আহসান বলেন, জরা আর দুঃখ ভুলে। যা কিছু পুরনো আর জীর্ণতাকে বাদ দিয়ে বাঙালি গাইছে নতুনের গান। প্রার্থনা একটাই- জাতি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তি। চৈত্রের রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তি শেষে বাংলার ঘরে ঘরে এবং প্রবাসে নতুন বছরকে আবাহন জানাতে আমরা সবাই মিলিত হয়েছি।
বাংলা নতুন বছর সবার মাঝে বয়ে আনুক সুখ: ও সম্মৃদ্ধি। মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাফল্যের বিষয় উল্লেখ করে তাদেরকে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মো: রাজিবুল আহসান।
এ ছাড়া লেখা পড়ার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে আমাদের সাংস্কৃতি, কৃষ্টিকালচার তুলে ধরার এ আহবান জানান।
বৈশাখী অনুষ্টানের প্রকল্প উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন মি: ডিন চাউ জেরিন আন্জুম, বৃষ্টি খাতুন সাবা।
অনুষ্টান শেষে আমন্ত্রিত অতিথি ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন আয়োজক শিক্ষার্থীরা।
নিউ ইয়র্ক মেইল/১২ এপ্রিল ২০১৯ইং/মালয়েশিয়া/আহমাদুল কবির/এইচএম