গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচিত উইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি বার সাইবার হামলার শিকার হয়েছে ইকুয়েডর।
সোমবার দেশটির একজন মন্ত্রী বলেছেন, ইকুয়েডরের সরকারি ওয়েবসাইটে কয়েক কোটি বার সাইবার হামলা হয়েছে।
ইকুয়েডরের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপ-মন্ত্রী প্যাট্রিসিও রিয়েল বলেছেন, দেশের বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট গত শুক্রবার থেকে আক্রান্ত হচ্ছে। বেশিরভাগ হামলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, হল্যান্ড, জার্মানি, রোমানিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া ও যুক্তরাজ্য থেকে। তবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ থেকেও হামলা চালানো হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইকুয়েডরের দূতাবাসে গত সাত বছর ধরে কূটনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। গত বৃহস্পতিবার তাকে দেয়া আশ্রয় সুবিধা বাতিল করে দেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বিশ্বের যে লাখ লাখ গোপন নথি ফাঁস করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে; সেই নথিতে নাম ছিল ইকুয়েডরের এই প্রেসিডেন্টের।
মোরেনো অভিযোগ করে বলেছেন, লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থেকে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং গুপ্তচর বৃত্তি করেছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। আশ্রয় সুবিধা বাতিলের পাশাপাশি ২০১৭ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়ার আমলে অ্যাসাঞ্জকে দেয়া ইকুয়েডরের নাগরিকত্বও বাতিল করেছেন মোরেনো।
দেশটির টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জাভিয়ার জারা বলেছেন, ভয়াবহ সাইবার হামলার শিকার হয়েছে ইকুয়েডর। যে কারণে ইন্টারনেটে প্রবেশও বন্ধ হয়ে পড়েছিল। এসব হামলা হয়েছে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপ থেকে।
তবে সবচেয়ে বড় সাইবার হামলার শিকার হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট। তবে এই হামলায় সরকারি বিভিন্ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নথি কিংবা তথ্য চুরি গেছে কি-না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।