উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে চলতি মাসেই বৈঠক করতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বের অন্যতম বিতর্কের একটি কেন্দ্রবিন্দুতে বড় ভূমিকা রাখতে চাইছে মস্কো।
গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে কোরীয় উপদ্বীপের স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈঠকে দুই দেশই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতি জোর দিয়েছে।
কিন্তু ট্রাম্প-কিমের দ্বিতীয় বৈঠক ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে পিয়ংইয়ং নতুন অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর দাবি জানিয়েছে।
ঠাণ্ডা যুদ্ধকালীন মস্কোর মিত্র পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণকি আলোচনায় বড় ভূমিকা রাখতে চাইছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে বৈঠকের বিষয়ে নিজের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
সিউলের কুকমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্র ল্যাংকভ বলেন, তবে কিমের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোরীয় উপদ্বীপে ভূমিকা রাখার মতো দেশ বিশ্বে আরও আছে, অঞ্চলটিতে তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দেয়া।
তিনি বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতিতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ চাইছে রাশিয়া। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবাইকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। এটা অবশ্যই বাকিরা ভালো চোখে দেখেনি।
ল্যাংকভ বলেন, গত বছর থেকেই আলোচনার জন্য কিমকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছিল রাশিয়া। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মস্কোর কোনো বড় ভূমিকা না থাকায় আলোচনায় গিয়ে সময় খোয়াতে চাননি কিম।
কিন্তু ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় দফার বৈঠকের ব্যর্থতার পর কিম সব মিত্রকেই এতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছেন।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ভালো সম্পর্কই ছিল। কিন্তু সোভিয়েত আমল থেকে সবচেয়ে খারাপ সম্পর্ক চলছে এখন।