পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর সীমান্তের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এ পথ দিয়ে অস্ত্র ও মাদক পাচার হওয়ার অভিযোগে দেশটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় এক কাশ্মীরি যুবকের আত্মঘাতী হামলায় ভারতের একটি আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ সেনা নিহত হওয়ার পর চিরবৈরী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
পরবর্তীতে দুই দেশের মধ্যে এক পশলা আকাশ যুদ্ধের ঘটনাও ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ভারত সরকার জানিয়েছে, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও জাল নোট পাচারে পাকিস্তানভিত্তিক বিভিন্ন গোষ্ঠী সীমান্ত বাণিজ্যের সুযোগটিকে অপব্যবহার করছেন। নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়েই এসব পাচার হচ্ছে বলে ভারতের অভিযোগ।
ভারতে বিশ্বের দীর্ঘতম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা শেষ হয়েছে। মোট সাত দফায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, কঠোর পরিদর্শন কলাকৌশল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত ওই সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।
অদলবদল ব্যবস্থায় দুই দেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য হয়ে আসছে। লঙ্কা, জিরা, আমড়া ও শুকনা ফল অদলবদল করেন চিরবৈরী দুই প্রতিবেশীর ব্যবসায়ীরা।
নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে টানাপোড়েনের সম্পর্ক উন্নতির জন্য ২০০৮ সাল থেকে এ পথ দিয়ে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। কাশ্মীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত-পাকিস্তান এ পর্যন্ত দুটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল।
শুক্রবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা জানিয়েছে, সরকারের নির্দেশে ভারত থেকে যাওয়া ফলবাহী ৩৫টি ট্রাক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগেও ২০১৫ সালে এই সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তখন এক পাকিস্তানির বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ এনেছিল ভারত।
ফেব্রুয়ারির হামলার পর পাকিস্তানকে দেয়া সবচেয়ে অনুকূল বাণিজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহারের পর এবার সীমান্ত বাণিজ্যও বন্ধ করে দিল ভারত।