ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ ছাড়াও রাশিয়া থেকে আরও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করবে তুরস্ক। তাছাড়া তুরস্ক-রাশিয়া যৌথভাবে যুদ্ধ বিমানও বানাবে।
রাশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন অস্ত্র কোম্পানি রসবরন এক্সপোর্টের প্রধান আলেকজান্ডার মিখেভ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যবস্থা, ট্যাংক বিধ্বংসী গোলাসহ দূর নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তুর্কি কর্মকর্তারা।
ইতিমধ্যেই মস্কো-আঙ্কারা কয়েকটি যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তুরস্কের কাছে রাশিয়া যে অস্ত্রগুলো বিক্রি করেছে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও এ উদ্যোগের অন্তর্ভূক্ত হবে।
তুরস্ক প্রথমে ২০০২ সালে এফ -৩৫ যৌথ যুদ্ধবিমান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এ প্রকল্পে দেশটি ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।
এদিকে তুরস্ককে দু'টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেগুলো বর্তমানে লুক বিমান ঘাঁটিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা ছিল আঙ্কারার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক অপেক্ষার পরও বিমানগুলো হাতে না পেয়ে তুরস্ক ২০১৭ সালে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে আগামী জুলাই মাসে তুরস্ককে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ হস্তান্তর করবে রাশিয়া।
রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্ক এস-৪০০ চুক্তি সই করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার হুমকি দিয়েছে। এ নিয়ে আঙ্কারা বলেছে, এস-৪০০ ক্রয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত নয় কারণ তুরস্ক ওয়াশিংটনের প্রতিপক্ষ নয় এবং ন্যাটোর জোটের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।
তুরস্ক রাশিয়ার এস-৪০০ আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়ে অটল থাকলে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে তুরস্কের বিরুদ্ধে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান না দিতে বিল পাস করে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এস-৪০০ পাওয়ার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে তুরস্ক।