ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বাতাসের বেগে উড়িষ্যায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উড়িষ্যার উপকূলে আছড়ে পড়ে ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়টি।
এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে উড়িষ্যার ১৭ জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনী ছাড়াও ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র ৮১ টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উড়িষ্যা উপকূলে সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা দেড় মিটার পর্যন্ত হতে পারে। ফলে রাজ্যের গঞ্জাম, খুরদা, পুরীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে উড়িষ্যায় ফণী আঘাত হানার আগেই ওই রাজ্যসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি জেলায় ফণীর প্রভাব পড়তে পারে। বিপর্যয় মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে আজ শুক্রবার সকালে পুরী থেকে কয়েকটি ট্রেনে ফিরেছেন পর্যটকরা। পাশপাশি আজ সকাল ৫টা থেকে দীঘা থেকে বিশেষ বাস চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। সরিয়ে নেয়া হচ্ছে পর্যটকদের।
উড়িষ্যা সরকার জানিয়েছে, ফণীর আঘাতে রাজ্যে ১০ হাজার গ্রাম ও ৫২টি শহর ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এ কথা মাথায় রেখে ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৭৫ জন মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই মধ্যে তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
এছাড়া আগাম সতর্কতা হিসেবে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভূবনেশ্বর বিমানবন্দর। উড়িষ্যার ওপর দিয়ে চলাচলকারী ২২৩টি ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। তবে তিনটি বিশেষ ট্রেন চালিয়ে পুরী থেকে পর্যটকদের বাইরে পাঠানো হচ্ছে।