নামিদামি ব্রান্ডের খাদ্যপণ্য নিম্নমান প্রমাণিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
এসব পণ্যের ব্যাপারে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অবস্থান জানতে উপপরিচালকের নিচে নয় এমন দুজন কর্মকর্তাকে রোববার হাইকোর্টে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। এদিন পরবর্তী শুনানি ও আদেশ দিবেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এক শুনানিতে এই আদেশ দেয়া হয়।
এসময় বেঞ্চ বলেন, বিএসটিআইয়ের তালিকায় রুপচাঁদা, তীরের মতো ব্র্যান্ডের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নাম আসছে, বিএসটিআই শুধু শোকজ করেছে। ভেজাল নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে পণ্যগুলো তুলে নেয়া উচিত ছিল, এটাই নিয়ম।
আরও বলেন, আমরা কি দেশ চালাই? কোর্ট কি দেশ চালায়? এটা সরকারের কাজ। তবু এসব কিভাবে হয়? অথচ আমরা (আদালত) আদেশ দিই আর আমাদের সেই আদেশের সমালোচনা করা হয়। তাহলে এ মামলায় কাদেরকে তলব করা যায়?
রিটকারী আইনজীবী আদালতকে জানান, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালককে তলব করা যেতে পারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে কনশাস কনজুমার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বাদী হয়ে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান পরে সাংবাদিকদের জানান, গত ৩ ও ৪ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিএসটিআই সম্প্রতি ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে।
এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে ৫২টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিম্নমানের ও ভেজাল রয়েছে। গত ২ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিএসটিআই।