যুক্তরাষ্ট্র সরকার গত বছর ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায় এবং নভেম্বরে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। অন্যদিকে ইউরোপীয় দেশগুলো এ সমঝোতা বাস্তবায়নের কথা মুখে বললেও কার্যত তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এর প্রতিবাদে ইরান এতদিন বলে আসছিল, তার ধৈর্যের সীমা আছে এবং পশ্চিমারা যেন তেহরানের কাছ থেকে ধৈর্যের পরীক্ষা না নেয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আবারও বলেছেন, পরমাণু সমঝোতার অংশীদার দেশগুলোকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম ও হেভি ওয়াটার বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনকে বলেছি আলোচনায় ফিরে আসার জন্য। তাদের সামনে ৬০ দিন সময় আছে।
তিনি আরও বলেন, যদি পাঁচ দেশের সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল বেরিয়ে আসে এবং ইরানের প্রধান স্বার্থ বিশেষ করে তেল ও ব্যাংকিং খাতে ইরানের স্বার্থ নিশ্চিত হয় তাহলে আমরা সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব। কিন্তু যদি ৬০ দিনের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব না হয় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে আরও দুটি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ওই দুটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, পরমাণু সমঝোতায় কথা ছিল আমরা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ৩.৬৭ মাত্রায় সীমাবদ্ধ রাখব। কিন্তু পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আমরা আর তা মেনে চলব না। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা আর সীমাবদ্ধ রাখা হবে না।
এছাড়া হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমাদের স্বার্থ নিশ্চিত না হলে ৬০ দিন পর আমরা পরমাণু সমঝোতার পূর্ববর্তী অবস্থানে ফিরে যাব এবং আরাক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টরকে পরিপূর্ণতা দেয়ার কাজ শুরু করব।