
গুয়েতেমালার রাজধানীর কাছে অবস্থিত একটি কারাগারে গোলাগুলির ঘটনায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন।
মঙ্গলবার কারাগারের দুই বন্দির মধ্যে প্রথমে মারামারি শুরু হয়। ওই ঘটনা কেন্দ্র করেই পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। খবর রয়টার্স ও এপির।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, মাদক নিয়ে কারাগারের দুই বন্দির মধ্যে প্রথমে মারামারি শুরু হয়। ওই ঘটনা কেন্দ্র করেই পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
গুয়েতেমালা কারাগার রক্ষণাবেক্ষণের মুখপাত্র কার্লোস মোরালস বলেন, এ ঘটনার পর প্রায় আট ঘণ্টা কারাগারটির নিয়ন্ত্রণ ছিল বন্দিদের হাতে।
পরে সহিংসতা বন্ধ করতে কারাগারটিতে প্রায় এক হাজার ৫০০ সেনা এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হয়। ইতোমধ্যে কারাগারটিতে প্রবেশ করে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
দেশটির ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র মারিও ক্রুজ বলেন, সহিংসতার এই ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭ জন। আমরা ইতিমধ্যে সাতজনের লাশ উদ্ধার করেছি এবং শেষ লাশটি উদ্ধারের অপেক্ষায় আছি।
গুয়েতেমালা শহরের কাছে অবস্থিত প্যাভন কারাগারটি ১৯৭০ সালে নির্মাণ করা হয়। কারাগারটির ধারণক্ষমতা মাত্র এক হাজার। তবে এতে বন্দি রয়েছে কমপক্ষে চার হাজার।
এর আগে ২০১৬ সালে ওই একই কারাগারে দাঙ্গায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়।