logo
আপডেট : 11 May, 2019 01:48
১১৭ কোটি ডলার ক্ষতি দেখিয়ে দশ বছর ট্রাম্পের করফাঁকি
মেইল রিপোর্ট

১১৭ কোটি ডলার ক্ষতি দেখিয়ে দশ বছর ট্রাম্পের করফাঁকি

বিপাকে পড়তে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির তথ্য সামনে এনেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

পত্রিকাটির তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে যে, ট্রাম্প এবং ট্রাম্পের পরবিারের সদস্যদের কর ফাঁকি দেয়ার যাবতীয় নথিপত্র তাদের কাছে আছে। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই কয়েকশ কোটি ডলার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে এর মধ্যেই ট্রাম্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে নিউ ইয়র্কের আয়কর দফতর।

বলা হচ্ছে যে, ট্রাম্পের এই কর ফাঁকি কার্যত ‘বেপরোয়া জালিয়াতি’। নিউ ইয়র্ক আয়কর বিভাগের মুখপাত্র জেমস গ্যাজেল জানিয়েছেন, সমস্ত অভিযোগ, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে বিধিবদ্ধ উপায়েই, এখানে কোন পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে না।

কর ফাঁকির ঘটনা শুধু যে শুধু ট্রাম্পের সময়ে হয়েছে, তা নয়। পারিবারিক বাণিজ্যে বিপুল উত্তরাধিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন তার বাবা ফ্রেড ট্রাম্পের কাছ থেকে। ফ্রেডের বিপুল সম্পত্তির হিসাবেই গরমিল রয়েছে বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা চলার সময় বাবা তাকে ব্যবসা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিতেন। ফ্রেড এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনেই করের হার কমানোর জন্য এমন অনেক পন্থা নিয়েছেন, যা পুরোপুরি অবৈধ।

যদিও ট্রাম্পের আইনজীবী দলের সদস্য চার্লস জে হার্ডার বলেছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমসের তোলা জালিয়াতি ও কর ফাঁকির অভিযোগ একশ ভাগ মিথ্যা। তাদের কেউই কর ফাঁকি দেয়নি বা জালিয়াতি করেনি।

নিউ ইয়র্ক টাইমস যে নথিপত্রের ভিত্তিতে এই অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ ভুল। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা হাকাবি স্যান্ডার্স মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, ফ্রেড ট্রাম্প মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো বিক্রি কমতে থাকা একটি পত্রিকা ট্রাম্প পরিবারের বিরুদ্ধে এমন বিভ্রান্তিকর অভিযোগ আনছে, এটা দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন রাজস্ব দফতর বহু আগে এমন এক অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছিল এবং সেই তদন্ত আইনসম্মতভাবে শেষও হয়েছে। বিষয়টি তখনই মিটে গেছে।