আগামী বৌদ্ধ পূর্ণিমায় বাংলাদেশ বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে জঙ্গি গোষ্ঠী জামায়াত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) বা ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইবি) বরাত দিয়ে শনিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজ।
প্রসঙ্গত, আগামী শনিবার ভারত-বাংলাদেশে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালন করবেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
আইবি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ধর্মীয় স্থানগুলিতে, বিশেষ করে হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে এ হামলা হতে পারে। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে শুক্রবার-ই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিস-প্রশাসনকে এ নিয়ে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে জি নিউজ।
রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে জি-নিউজ বলছে, সতর্কবার্তা পেয়ে এরমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশের দুই কর্মকর্তা সতর্কবার্তার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, রাজধানী কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে বুদ্ধপূর্ণিমায় যেহেতু প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়, তাই সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে অন্যান্য মন্দিরেও।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অথবা পশ্চিমবঙ্গে নারী জঙ্গিদের সামনে রেখে নাশকতার ছককে বাস্তবায়িত করা হতে পারে। বুদ্ধপূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ মন্দিরে অথবা অন্য কোনো মন্দিরে ভক্ত সেজে ঢুকে হামলা চালানো হতে পারে। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়াতে গর্ভবতী নারী সেজে পেটের মধ্যে বিস্ফোরক লুকিয়ে মন্দিরে ঢোকার মতো নতুন কৌশল জঙ্গিরা নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ‘শিগগিরই আসছি’ বলে বাংলায় একটি পোস্টার পোস্ট করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। তখনই এ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। আশঙ্কা করা হয়েছিলো, শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের দিন গির্জা ও হোটেলসহ কমপক্ষে আট স্থানে ভয়াবহ হামলার পর এবার কি তাহলে জঙ্গিদের টার্গেট হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশে?