সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টাকালে কক্সবাজারে ৮৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও কোস্টগার্ড। শনিবার ভোরে কক্সবাজারের পেকুয়া ও সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় ৫ দালালকে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, সাগরপথে ট্রলারযোগে মালয়েশিয়া যাবার জন্য দালালচক্র পেকুয়ার উজানটিয়া জেটিঘাটে লোকজন জড়ো করে। এমন সংবাদে ভিত্তিতে ওইস্থানে অভিযানে গেলে ৬৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দালালদের মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাবার জন্য এসেছিল বলে জানায়।
এদিকে কোস্টগার্ড টেকনাফ ষ্টেশনের কমান্ডার ফয়েজুল ইসলাম মন্ডল জানান, মানব পাচারকারী দালাল চক্রের সহযোগীতায় অবৈধ ভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষকে সেন্টমার্টিন সৈকত এলাকায় সমবেত হওয়ার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় পাচারে জড়িত পাঁচজন আটক করা হয়েছে। এদের মধ্য উদ্ধার হওয়া ৭ জন নারী এবং ১০ জন রোহিঙ্গা পুরুষ রয়েছে এবং পাঁচজন পাচারকারীরা কুতুবদিয়া, মহেশখালী, রামু ও উখিয়ার বাসিন্দা। উদ্ধার করা ১৭ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও আটক পাঁচজন পাচারকারীকে শনিবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, উদ্ধার ১৭ রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং পাঁচজন পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে কক্সবাজার আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।